ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রামে গায়েব হওয়া ১৯১১টি মামলার নথির ৯ বস্তা মিলল ভাঙারির দোকানে

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম
বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১০.৩১ অপরাহ্ন

আপডেট : বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১০.৩১ অপরাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 1141508 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 1141508 জন
চট্টগ্রামে গায়েব হওয়া ১৯১১টি মামলার নথির ৯ বস্তা মিলল ভাঙারির দোকানে
ছবি : সংবাদদাতা প্রেরিত।

চট্টগ্রাম আদালতের এক হাজার ৯১১টি মামলার নথির (কেস ডকেট বা সিডি) খোঁজ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম আদালত থেকে চুরি হয়ে যাওয়া ৯ বস্তা নথি কোতোয়ালি থানা এলাকার এক ভাঙরি দোকানের গোডাউন থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় এক চা বিক্রেতাকে আটক করা হয়েছে। 


নথি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বলেন, এ ঘটনায় এক চা বিক্রেতাকে আটক করা হয়েছে। অভিযান এখনো চলছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

জানা গেছে, গত ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তৃতীয় তলার বারান্দায় প্রায় দুই বছর ধরে রক্ষিত ১৯১১টি কেস ডকেট চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভুঁইয়া কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করেন।


জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, হত্যা, মাদক, চোরাচালান, অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ প্রায় ১৯১১টি মামলার নথি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মহানগর পিপির এখতিয়ারে থাকা অন্তত ৩০টি আদালতে চলমান মামলার নথি এগুলো। হত্যা, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন মামলার এসব নথি বিচারিক কাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলছেন আইনজীবীরা।নথিগুলোর খোঁজ না পাওয়ায় গত রোববার নগরের কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মফিজুল হক ভুঁইয়া।


জিডিতে আরো উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ে ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। পিপি কার্যালয়ে জায়গা-স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় এক হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল।


আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি থানায় ডায়েরিভুক্ত করে রাখার জন্য আবেদন করা হলো।


সরকারি কৌঁসুলি মফিজুল হক ভুঁইয়া বলেন, নথিগুলো রাখার জন্য কক্ষ পাওয়া যাচ্ছে না। কক্ষ চাওয়া হয়েছিল। তাই নথিগুলে সেখানে রাখা হয়। তা ছাড়া আমার কক্ষটি নথিতে ঠাসা হয়ে আছে বলে জানান তিনি।



নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | জাতীয়
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম
বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১০.৩১ অপরাহ্ন
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১০.৩১ অপরাহ্ন