বাংলাদেশে যেন আর কখনোই ফ্যাসিবাদ ফেরত আসতে না পারে সে বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তÍবর্তী সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানাধীন ‘জাতিসংঘ পার্ককে সংস্কারের পর ‘জুলাই স্মৃতি উদ্যান’ উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। গণপূর্ত উপদেষ্টা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি ধরে রাখতে এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উড়াল সেতু ও পার্কগুলো তাদের নামে করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। ‘জাতিসংঘ পার্ক’ এখন ‘জুলাই স্মৃতি উদ্যান’ হয়েছে। জীর্ণ অবস্থায় দীর্ঘদিন পড়ে থাকা প্রায় ৭০ বছর পুরনো এ পার্কটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, অন্যায় অবিচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যারা সাড়ে ১৫ বছর সংগ্রাম করেছেন, জীবন দিয়েছেন এই অনুষ্ঠানে একই সঙ্গে তাদেরকেও স্মরণ করছি। উপদেষ্টা বলেন, শহীদদের তালিকা দেওয়া থাকবে, তাদের সম্মান দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। তবে বাংলাদেশে যেন আর কখনোই ফ্যাসিবাদ ফেরত আসতে না পারে সে বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী প্রজন্ম এ উদ্যানে এসে বা উড়াল সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ত্যাগের কথা মনে রাখতে পারেন সেই জন্যই মূলত উড়াল সেতু ও উদ্যানের উদ্বোধন করা।
আদিলুর রহমান খান বলেন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার দৃশ্যমান করার কাজ মেয়র সাহেবরা করবেন। আন্ডারপাসও দরকার। তবে বড় বিষয় হচ্ছে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা। এটি আমাদের নজরে আছে। জলাবদ্ধতা থেকে মানুষ মুক্তি পায় সেই চেষ্টা হচ্ছে। মেয়র, সিডিএ, ডিসি সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, আমি মনে করি পাঁচলাইশের ঐতিহ্যবাহী জাতিসংঘ পার্কের দায়িত্ব চসিক, সিডিও, জেলাপ্রশাসন নিতে হবে। এক সময় আমাদের সমন্বয় ছিল না। এখন এক সঙ্গে মিলে কাজ করছি। একসাথে মিলে চট্টগ্রামকে সাজাতে চাই। পতেঙ্গাকে আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র করতে চাই। তবে সময় লাগবে। আশা করছি, সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে পারলে চট্টগ্রামকে ক্লিন ও গ্রিন সিটি করতে পারবো।
জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, যে চেতনা নিয়ে এই জুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামের নয় জন বীর শহীদ হয়েছেন, নতুন একটি গণতান্ত্রিক ইতিহাস লিখেছেন তাদের সেই চেতনা আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সরকার কাজ করছে। এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। যেসব পার্ক অবৈধ দখলদারদের দখলে রয়েছে তা উদ্ধার করবো।
তিনি বলেন, ডিসি পার্কের ১৯৪ একর জায়গা ইতিমধ্যে মাদকের আস্তানা থেকে রক্ষা করেছি। মাঝখানে নগরের সৈকত পতেঙ্গা জৌলুস হারিয়েছিল। সেটা ফিরিয়ে আনতে সিডিএ, সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সমন্বিত প্রচেষ্টা চলছে।