বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচন কঠিন হবে। শুধু একটি নির্বাচনই নয়, পরের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। এখন কথায় চিড়া ভিজবে না। জনগণকে জানতে হবে, তাদের বিশ্বাস ধরে রাখতে হবে। বিগত ১৫ বছরে নির্যাতনের শিকার হয়েও জনগণের পক্ষে কথা বলা বন্ধ করেনি বিএনপি। তাই ব্যক্তিস্বার্থের জন্য কাউকে সুযোগ দেওয়া যাবে না।’
গতকাল বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের মিশনপাড়া এলাকায় আয়োজিত কর্মশালায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন সকাল ১০টা থেকে ‘বাংলাদেশ হোসিয়ারি মিলনায়তনে’ দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
তারেক রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকার দেশটাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। আমরা দেশের মানুষের কলাণে কাজ করার জন্য এই কর্মশালার আয়োজন করেছি। একজন রাজনীতিবিদের সফলতা হলো দেশের কল্যাণ করতে পারা। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ভোটের আস্থা অর্জন করতে হবে। আমরা দেশের জন্য কী করতে চাই তা মানুষকে জানাতে হবে। আস্থার পর্যায় আমাদের ধরে রাখতে হবে। আমরা ব্যক্তিস্বার্থে রাজনীতি করছি না। মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে আপনাকে জনগণের দিকে তাকাতে হবে। অনেক সময় দলের মধ্যে কিছু দুষ্টু থাকে তাদেরকে টাইট দিয়ে রাখতে হবে।
আমাদের ৩১ দফা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে হবে। জনগণের আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব আপনার ও আমাদের।’ তিনি আরো বলেন, ‘কিছু লোক নিজেদের স্বার্থের জন্য আমাদের এই অর্জনের মধ্যে পানি ঢালার চেষ্টা করছে। তাই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের ৩১ দফার বাস্তবায়নের মাধ্যমে জবাব দিতে হবে। আমরা আমাদের কায়দায় জবাব দেব।’
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী ও মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় কর্মশালায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রশিক্ষণ কমিটির সদস্য কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি উম্মে হাবিবা, আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।