২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য ১১ লাখ ৯৫ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট পেশ করেছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। যা চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ১ দশমিক ৫৭ গুণ বেশি।
সোমবার (৩ জুন) অর্থনীতি সমিতির অডিটোরিয়ামে ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনা ২০২৪-২০২৫ : উন্নত বাংলাদেশ অভিমুখী বাজেট’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম এই প্রস্তাব দিয়েছেন।
বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনায় বলা হয়, আমাদের ঘোষিত বাজেট সম্প্রসারণশীল বাজেট। সুপারিশ সংখ্যা ৩৬১টি। এখানে ২৪টি মূল পয়েন্ট উপস্থাপন করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বৈষম্য, অসমতা ও দারিদ্র্য নিরসন, সামাজিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বেষ্টনী, মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগ ও সঞ্চয়, রেমিট্যান্স, পুঁজিবাজার, ব্যাংক, বৈদেশিক খাত, রিজার্ভ শক্তিশালীকরণ, সরকারি ঋণ, কৃষি ভূমি, ভূমি মামলা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, প্রতিবন্ধী মানুষ, প্রকৃতি ও সরকারি অর্থের সংস্থান প্রভৃতি।
রাজস্ব আহরণ প্রসঙ্গে অর্থনীতি সমিতি বলছে, প্রস্তাবিত বিকল্প বাজেট অর্থায়নে কোনো বৈদেশিক ঋণের প্রয়োজন হবে না। বাজেটে সরকারের রাজস্ব আয় থেকে আসবে ১০ লাখ ২৪ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা। মোট বাজেট বরাদ্দের ৯২ দশমিক ১৩ শতাংশের জোগান দেবে সরকারের রাজস্ব আয়। বিগত ৫০ বছরে (১৯৭২-৭৩ থেকে ২০২২-২০২৩ অর্থবছর) কালো টাকা ১ কোটি ৩২ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আসন্ন বাজেটে মাত্র দশমিক ৯৮ শতাংশ উদ্ধারের সুপারিশ করছি। সেখান আহরণ হবে ১০ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিক আলোচিত ওই সময়ে বিদেশে অর্থপাঁচার হয়েছে ১১ লাখ ৯২ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে দশমিক ৪৯ শতাংশ উদ্ধারের সুপারিশ করা হয়েছে। যার পরিমাণ হবে ৫ হাজার কোটি টাকা। আর রাজস্ব খাত থেকে আসবে ১০ লাখ ২৪ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতি সমিতি সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত। বিকল্প বাজেট সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও কনফারেন্সে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন দেশের ৬৪টি জেলা, ১৩৫টি উপজেলা এবং ৪৫টি ইউনিয়ন থেকে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সদস্য ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিরা।