উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সিভাসু অডিটোরিয়ামে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এসময় তিনি বলেন, “আমাদের দেশ প্রাচুর্যে ভরা, কিন্তু আমরা সমুদ্রের তলদেশে লুকানো অফুরন্ত সম্পদগুলো যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারছি না। সমুদ্রসম্পদ আহরণের জন্য গবেষণার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।” তিনি আরও বলেন, সমুদ্রসম্পদের সদ্ব্যবহার ও সেগুলোর সঠিক আহরণের জন্য দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি’র সদস্য প্রফেসর ড. মাছুমা হাবিব, জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান, সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান, এবং অন্যান্য সম্মানিত অতিথিরা। ইউজিসি’র সদস্য প্রফেসর ড. মাছুমা হাবিব অনুষ্ঠানে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিল্প-কারখানার মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য এই ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে শিক্ষার্থীরা তাদের ব্যবহারিক দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে, পেশাগত জ্ঞান অর্জন করতে পারে এবং কর্মসংস্থানের আরও সুযোগ পায়।”
এছাড়া সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, “জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সি-ফুডের চাহিদা বাড়ছে, তবে আমরা এখনও সেই চাহিদা মেটাতে পারছি না। সমুদ্রের তলদেশে প্রচুর সম্পদ রয়েছে, তবে তার যথাযথ আহরণের জন্য আরো গবেষণা প্রয়োজন।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শিক্ষার্থী, গবেষক এবং মৎস্য সেক্টরের প্রতিনিধিরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্থাপিত বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। এই স্টলগুলোতে অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের পণ্য, সেবা এবং উদ্ভাবন প্রদর্শন করেন।
ফেস্টিভ্যালে ২৬টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৯৫টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে, এবং এতে মোট ৫৫০ জন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক, উদ্যোক্তা, ভোক্তা এবং প্রতিনিধির উপস্থিতি রয়েছে। দুই দিনের এই বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে ৩৫০টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মাননীয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, যিনি এই উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন।
এটি দেশের মৎস্য সেক্টরের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে সমুদ্রসম্পদ ও সি-ফুড উৎপাদন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে।