আমরা বাংলাদেশের মানুষ যে স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। আমরা জানি স্বাধীনতার মূল্য কত, আমরা জানি অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি- এই নতুন বাংলাদেশের মূল্য কত। আমরা প্রত্যাশা করি বাংলাদেশে যেমন করে ১৯৭১ ঘটে গেছে বাংলাদেশে যেমন করে জুলাই বিপ্লব ঘটে গেছে, তেমন করে ফিলিস্তিনের মাটিতেও একদিন জুলাই আসবে। ফিলিস্তিনের মানুষও একদিন শান্তি পাবে, ফিলিস্তিন স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।
সোমবার (০৭ এপ্রিল) বিকেলে শাহবাগ জাতীয় যাদুঘরের সামনে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও ভারতের পার্লামেন্টে ওয়াকফ সংশোধনী বিল প্রস্তাবের বিরুদ্ধে এনসিপির ঢাকা মহানগর শাখা কর্তৃক আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে এসব কথা বলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া ইসরায়েল মানবতাবিরোধী অপরাধের চূড়ান্ত সীমা লঙ্ঘন করেছে। ফিলিস্তিনের নিরীহ মানুষের ওপর তারা মুহুর্মুহু আক্রমণ করছে, হত্যা করছে। কিন্তু তাদের কোনো অনুশোচনা আমরা দেখিনি। আমরা দেখেছি ইসরায়েল হামলা করেছে নিরীহ মানুষের বাড়িতে, সেখানকার স্কুলে, হাসপাতালে। ইসরায়েল সবচেয়ে বেশি সাংবাদিককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
আখতার আরও বলেন, বিশ্বের গণতন্ত্রকামী যে শক্তিগুলো আছে তারা ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। কিন্তু তারপরও বিশ্বের কিছু শক্তি ইসরায়েলের পক্ষে, তাদের মানবতাবিরোধী কাজের সাফাই গেয়ে যাচ্ছে। আমরা মনে করি বিশ্বের কোনো মানুষ তাদের এই গণহত্যাকে কোনোভাবেই সমর্থন করতে পারে না। অবিলম্বে ফিলিস্তিনে চলা এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, ২০২৫ সালের এই আধুনিক বিশ্বে এমন হত্যাকাণ্ড চলছে আমরা আশ্চর্যজনকভাবে তা মেনে নিচ্ছি। গাজার মানুষ মরবে আর পুরো বিশ্ব আরামে থাকবে তা হতে পারে না। এই হত্যার প্রতিবাদে স্বয়ং আমেরিকাতে বিক্ষোভ চলছে তবুও তারা সামান্য বিচলিত হচ্ছে না। বোমা হামলা-বিমান হামলার পরিমাণ তারা মাসের পর মাস বাড়াচ্ছে। আরও নৃশংস হয়ে উঠছে। আমাদের মধ্যে মানবিকতা-মনুষ্যত্ব সেটা কি শুধু মুখেই থাকবে? শতাব্দির সবচেয়ে ভয়ংকর গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানান তারা।