ফেনীর সাংবাদিকতা অঙ্গনে এক উজ্জ্বল নাম আজাদ মালদার। তিনি শুধু একজন সংবাদকর্মী নন—একজন আপসহীন কলমযোদ্ধা, মানবিক সমাজকর্মী এবং নির্যাতিত মানুষের পক্ষে সোচ্চার কণ্ঠস্বর। বর্তমানে তিনি আরটিভির জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ফেনী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
🎓 শিক্ষা ও সাংবাদিকতায় পদার্পণ
আশির দশকে সাংবাদিকতা শুরু করা আজাদ মালদার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে মাস্টার্স এবং আইন বিষয়ে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর এই শিক্ষাগত ব্যাকগ্রাউন্ড তাঁর চিন্তাশক্তি ও দায়বদ্ধতাকে দৃঢ় করেছে, যা তার পেশাগত কর্মকাণ্ডে স্পষ্ট প্রতিফলিত হয়।
🏅 তিন দশকের বেশি সময় ধরে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা
গত ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি ফেনীর প্রথম সারির একজন সাংবাদিক হিসেবে সুপরিচিত। ২০১৮ সালে তিনি ফেনী প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং নেতৃত্ব দিয়েছেন নানা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ বা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের ইতিহাস নেই, যা তাকে একজন গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
📢 সাহসিকতা ও প্রতিবাদী ভূমিকা
আজাদ মালদার দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাস, মাদক, ও অসামাজিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে আসছেন। যার ফলে তিনি বহুবার হুমকি ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মধ্যেও তিনি থেমে থাকেননি।
🕌 সামাজিক ও ধর্মীয় উদ্যোগ
সাংবাদিকতার পাশাপাশি সমাজসেবায়ও তিনি উজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছেন। বাদামতলী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বিনা বেতনে পরিচালনা, বিদ্যুৎ সংযোগ, রাস্তা উন্নয়ন (এজি মাহমুদ রোড), এবং একাধিক মসজিদ নির্মাণে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
তিনি জাকের হোসেন মালদার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ২৮টি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করেন, যেখানে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। এছাড়া তিনি বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন, এবং এনায়েত ভূঁইয়া ঈদগাহ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘ সময় সেবা দিয়েছেন।
❤ মানবিক সহায়তা ও আত্মত্যাগ
বিয়ে, চিকিৎসা, জাকাত, ফিতরা ও চাকরি সংক্রান্ত সহায়তায় তিনি ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রায় কোটি টাকার বেশি মানবিক সহায়তা দিয়েছেন। অথচ এই ত্যাগের মূল্য আজ তাকে ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি করেছে।
স্থানীয় কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা মসজিদের উন্নয়ন কাজ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে, এমনকি কবরস্থানে বোমা নিক্ষেপ করে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সচেতন মহল এইসব কর্মকাণ্ডের বিচার দাবিতে সরব হয়েছেন।
আজাদ মালদার শুধু একজন সাংবাদিক নন—তিনি একজন সমাজনেতা, ধর্মপ্রাণ মানুষ এবং মানবতার সেবক। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার এই নির্ভীক কণ্ঠস্বর আজও ফেনীর মাটি ও মানুষের কাছে প্রেরণার উৎস। বর্তমান প্রজন্মের জন্য তিনি এক অনুকরণীয় আদর্শ।