একজন সরকারি কর্মচারীর ১৫ বছর চাকরির পর পেনশন সুবিধাসহ অবসর নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। কমিশনের প্রতিবেদনের নির্বাহী সারসংক্ষেপ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। এতে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী ১৫ বছর চাকরি করার পর সকল সুবিধাসহ অবসর নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হলো। এটি কর্মজীবন পরিবর্তনের জন্য বেছে নেওয়া কর্মকর্তাদের জন্য চাকরি থেকে চলে যাওয়ার সুবিধা দেবে।
বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীরা ২৫ বছর চাকরি করার পর অবসরে গেলে পেনশনসহ সব অবসর সুবিধা পেয়ে থাকেন। এদিকে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি বছর বেতন বৃদ্ধি করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। কমিশনের প্রতিবেদনের নির্বাহী সারসংক্ষেপ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে দেশের মুদ্রাস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রদত্ত ইনডেক্স বিশ্লেষণ করে মূল বেতন প্রতি বছর বেতন বৃদ্ধি করা যেতে পারে। তবে তা ৫ শতাংশের বেশি হবে না। এ উদ্দেশ্যে একটি স্থায়ী বেতন কমিশন গঠন করা যেতে পারে।
সুপারিশে বলা হয়, পাবলিক সার্ভিস অ্যাক্ট ২০১৮ এর ধারা ৪৫ বিধান অনুসারে ২৫ বছর চাকরির পরে সরকার ইচ্ছে করলে কাউকে বাধ্যতামূলক অবসর দিতে পারে বলে যে বিধান রয়েছে তা বাতিল করার জন্য সুপারিশ করা হলো। নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন নিশ্চিত করার জন্য একই সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশে আরও বলা হয়, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ব্যতীত কোনো অফিসার/কর্মচারীকে ওএসডি না করার জন্য সুপারিশ করা হলো। কোনো ওএসডি কর্মকর্তাকে কাজ না দিয়ে বেতন-ভাতা দেওয়ার পরিবর্তে তাদের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে শিক্ষকতা বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সাময়িকভাবে পদায়ন করা যেতে পারে।