শেয়ারবাজারে নীরব 'রক্তক্ষরণ' অব্যাহত রয়েছে, এবং বিনিয়োগকারীরা প্রতিনিয়ত তাদের পুঁজি হারাচ্ছেন। রোববার (২০ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অংশগ্রহণকারী ৮৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) থেকেও একই চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে, যেখানে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার মূল্য হ্রাস পেয়েছে।
টানা ৫ কার্যদিবস শেয়ারবাজারে দরপতন ঘটেছে এবং শেষ ১৩ কার্যদিবসের মধ্যে ১১ দিনই বাজার নিচের দিকে চলেছে। বিনিয়োগকারীরা এ পরিস্থিতিকে ভয়াবহ রক্তক্ষরণের সঙ্গে তুলনা করছেন। সাইফুল ইসলাম নামের এক বিনিয়োগকারী জানান, "শেয়ারবাজারের পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে, এবং পোর্টফোলিওর প্রায় সব শেয়ারের দাম ৫০-৬০ শতাংশ কমে গেছে। লোকসান বাড়ছে, আর বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।"
অন্য বিনিয়োগকারী মিজানুর রহমান বলেন, "বাজারের অবস্থা খুবই খারাপ। অধিকাংশ বিনিয়োগকারী ৪০-৫০ শতাংশ লোকসানে রয়েছে।" তিনি এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
ডিএসইতে ৩৬২ কোটি ৪২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসের তুলনায় বেড়েছে। কিন্তু উল্লিখিত দিনে মাত্র ২৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, অন্যদিকে ৩৪৬টি প্রতিষ্ঠানের দাম কমেছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ২৭১ পয়েন্ট হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে ২৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৮১টির শেয়ার মূল্য কমেছে।
বাজারের এই পতন থামাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা ও অশান্তি দেখা দিচ্ছে, যা ব্যক্তিগত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।