অন্তর্র্বতী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ব্যাংক খাতে উন্নয়নের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। ঋণের অপব্যবহার বন্ধ হওয়ায় গ্রাহকদের মধ্যে আমানতে আস্থা ফিরে এসেছে, যা তারল্য সংকট কমাতে সাহায্য করছে।
পূর্ববর্তী সরকারের ১৬ বছরের শাসনে অর্থ লুটপাট এবং পাচারের ঘটনা ঘটেছে ব্যাপকভাবে। দলের নেতাকর্মীরা ভুয়া কোম্পানির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে টাকা তুলে নিয়েছে, যার ফলে অনেক ব্যাংক বর্তমানে দেউলিয়ার পথে। তবে অন্তর্র্বতী সরকারের নিয়ন্ত্রণে ব্যাংক খাতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, আগস্ট মাস শেষে ৬১টি তফসিলি ব্যাংকের মধ্যে ৪৩টিতে অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে, যা ১ লাখ ৯০ হাজার ৩০৬ কোটি টাকার সমপরিমাণ। রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচটি ব্যাংকে এই পরিমাণ ৬৩ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা, যার মধ্যে সোনালী ব্যাংকে রয়েছে ৪৯ হাজার ৪৩ কোটি টাকা।
ব্যাংক খাতের বিশেষজ্ঞ তৌফিক আহমেদ চৌধুরী মন্তব্য করেন, পূর্বে মালিকপক্ষ ঋণের নামে ডিপোজিট সংগ্রহ করে লাভবান হতো, যা এখন বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে গ্রাহকদের মধ্যে আস্থা পুনরুদ্ধার হচ্ছে এবং ডিপোজিট বাড়ছে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান জানান, ব্যাংকিং খাতে লুকোচুরির খেলা বন্ধ না হলে জনগণের বিশ্বাস তৈরি হবে না।
গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির ব্যাংকিং কমিশনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, শক্তিশালী ব্যাংক খাত গড়ে তোলার জন্য এটি জরুরি। গ্রাহকদের ব্যাংকে টাকা রাখার আগে আর্থিক কাঠামো সম্পর্কে জানার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।