ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

সন্দ্বীপের মানুষকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে : উপদেষ্টা ফাওজুল

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম
রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১০.২৯ অপরাহ্ন

আপডেট : রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১০.২৯ অপরাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 1098487 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 1098487 জন
সন্দ্বীপের মানুষকে জিম্মি করে রাখা  হয়েছে : উপদেষ্টা ফাওজুল
ছবি : সংবাদদাতা প্রেরিত।

সন্দ্বীপের মানুষকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপে যাওয়া শাস্তির মতো বলেও উল্লেখ করেন। রোববার  সকালে বাঁশবাড়িয়া-গুপ্তছড়া ফেরিঘাটের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।


উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, সন্দ্বীপ একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। মানুষকে শাস্তি দিতে চাইলে বলতে পারেন, তুমি সন্দ্বীপ যাও। মহিলাদের কোমড় পানিতে নামতে হয়। মাথার ওপরে মালপত্র নিয়ে নৌযানে উঠতে হয়। এসব ছাড়াও ঘাটে নানা অব্যবস্থাপনা রয়েছে। 


দেশে যেসব জায়গায় উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছেনি সেসব জায়গায় পৌঁছাতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সন্দ্বীপের মানুষকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। মানুষ বাড়িতে যাওয়া বা আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা করা তো অপরাধ না। আমার বাড়িও সন্দ্বীপ, কিন্তু সেটা মূল বিষয় না। আমার বাড়ি যাওয়ার তেমন কারণ নাই। এজন্য এটা সন্দ্বীপের ইস্যু না। এটি উন্নয়নের ইস্যু। উন্নয়ন সব ঢাকা কিংবা বড় শহরে হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ অনুযায়ী, যেসব জায়গায় উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছেনি সেসব জায়গায় পৌঁছাতে হবে।


দ্বীপ জেলা ভোলাতে ব্রিজ করার পরিকল্পনা রয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির বলেন, আমরা অন্যান্য যেসব বিচ্ছিন্ন জেলা—যেমন ভোলাতে আমরা ব্রিজের চিন্তা করছি। সন্দ্বীপের ব্যাপারেও ফেরিটা কতটুকু সফল হয় সেটা দেখে পরবর্তীতে আমরা সড়ক যোগাযোগের দিকে ভাববো। তবে মনে রাখতে হবে সড়ক নির্মাণ খুবই ব্যয়বহুল। এজন্য ওখানে যদি কোনো অর্থনৈতিক ক্রিয়াকাণ্ড না হয় তবে সড়কের বিনিয়োগ ঠিক হবে না।


ভোলা সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভোলাতে এখন কেন ব্রিজের কথা চিন্তা করছি? কারণ ওখানে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। ওখানে মানুষের যাতায়াতের প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। আপনি চিতল পিঠা খেতে সন্দ্বীপ যাবেন—এরজন্য তো ১০-১৫ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ব্রিজ করবে না। করলে অন্যায় হবে। আর সরকারের সীমিত সম্পদ।


কবে নাগাদ ফেরি চলাচল চালু হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট একজন সাংবাদিকদের বলেন, দুইপাশে এপ্রোচ সড়ক যেটি রয়েছে সেই কাজটি এখন করছি। আমরা টার্গেট নিয়েছি মার্চের ১০ তারিখের মধ্যে এটি অপারেশনের জন্য প্রস্তুত হবে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় প্রতিনিয়ত এটির ব্যাপারে খোঁজ নেন। আমরা সেইভাবে কাজটি আগাচ্ছি এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইনশাআল্লাহ শেষ করবো।


বিআইডব্লিউটিএ’ প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) রকিবুল ইসলাম তালুকদার এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, স্পীডবোট চালাতে আমাদের কোম্পানির লিস্ট লাগবে না। যে স্পীডবোট নিয়ে আসবেন সেই চালাতে পারবেন। শুধু বোট রেজিস্ট্রেশন থাকা লাগবে। ফেরিঘাট আমরা ড্রেজিং করছি, রাস্তা স্বশস্ত্রবাহিনী করছে। আশা করছি মার্চের ১০ তারিখ কার্যক্রম শুরু হবে।



নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | জাতীয়
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম
রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১০.২৯ অপরাহ্ন
আপডেট : রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১০.২৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ