News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/2Ak
কয়েক মাস ধরে চলা আলোচনা ও কূটনৈতিক টানাপোড়েনের পর ইউক্রেনের সঙ্গে যৌথভাবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উত্তোলনের বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার আগ্রাসনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে উৎসাহিত করতে দুই দেশ একটি ‘পুনর্গঠন বিনিয়োগ তহবিল’ গঠনেরও ঘোষণা দিয়েছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, নবগঠিত এই বিনিয়োগ তহবিল ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে যে উল্লেখযোগ্য সহায়তা দিয়েছে, সেটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেন, “এই চুক্তি কেবল একটি অর্থনৈতিক উদ্যোগ নয়, বরং ইউক্রেনের দীর্ঘমেয়াদি শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য একটি কৌশলগত পদক্ষেপ।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউক্রেনে রয়েছে গ্রাফাইট, টাইটানিয়াম ও লিথিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের বিশাল মজুদ। এই খনিজ পদার্থগুলো আধুনিক শিল্প, সামরিক প্রযুক্তি এবং নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
চীনের সাথে চলমান মার্কিন বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যে এই চুক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ বিশ্বজুড়ে ব্যবহৃত ৯০% বিরল খনিজের প্রক্রিয়াজাতকরণ বর্তমানে চীনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এই চুক্তিকে কিয়েভের জন্য ‘মার্কিন সামরিক সহায়তার ধারাবাহিকতার পূর্বশর্ত’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। যদিও রাশিয়ার পক্ষ থেকে এখনো এই চুক্তির বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি, বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি মস্কোর নজর এড়াবে না।
এই চুক্তি শুধু জ্বালানি ও খনিজেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি যুদ্ধ পরবর্তী ইউক্রেন পুনর্গঠনের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে।