News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/2zD
সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পুলিশের হঠাৎ হামলায় অন্তত পাঁচজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন এবং পুলিশ তাদের মাইক ও ব্যানার জব্দ করে নির্বিচারে লাঠিপেটা চালায়। তারা দাবি করেন, সমাবেশ শান্তিপূর্ণ ছিল এবং কোনো রাস্তা অবরোধ করা হয়নি।
ডবলমুরিং থানার ওসি কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, "সড়ক অবরোধ ও বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করায় আমরা তাদের সরিয়ে দেই। আটককৃত তিনজন হালিশহর থানার একটি নিয়মিত মামলার আসামি।"
গ্রেফতারকৃত অন্য দুইজন হলেন মিরাজ উদ্দিন ও রূপন। মিরাজ সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি এবং আল কাদেরী জয় বাসদের চট্টগ্রাম জেলা ইনচার্জ।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম নগরীর কাপাসগোলায় নালায় অটোরিকশা পড়ে গিয়ে এক শিশুর মৃত্যুর পর সিটি করপোরেশনের মেয়রের নির্দেশনায় নগরজুড়ে ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়। এক সপ্তাহে ৩ হাজারের বেশি রিকশা আটক করে ডাম্পিং স্টেশনে পাঠানো হয়।
এই পরিস্থিতির প্রতিবাদে ২৩ এপ্রিল চান্দগাঁওয়ে সড়ক অবরোধ করেন চালকরা, যেখানে পুলিশ ও চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনার ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবারের সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। সমাবেশে ব্যাটারিচালিত রিকশা জব্দ বন্ধ, গ্যারেজে হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।