News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/2yM
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, "বাংলাদেশে এখন ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। তারা অত্যন্ত অমানবিক জীবনযাপন করছে। আমরা বলেছি, খাদ্য ও আশ্রয় দেওয়া কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। সমাধান হলো, রোহিঙ্গাদের নিজস্ব ভূমিতে পুনর্বাসন করা, যার জন্য একটি স্বাধীন আরাকান রাজ্য প্রয়োজন।" তিনি আরও বলেন, "চীন এখানে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে, কারণ চীনের বার্মার (মিয়ানমার) সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে।"
বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন, তিস্তা বাঁধ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণে বিনিয়োগ, গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপন ও নীল অর্থনীতির প্রসারের বিষয়েও আলোচনা হয়। জামায়াত নেতারা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক হারে শিক্ষাবৃত্তির অনুরোধও জানান।
নির্বাচন ও সংস্কার ইস্যুতে চীনা প্রতিনিধিরা জানতে চান, নির্বাচন কখন এবং কীভাবে হতে পারে, এবং জামায়াত প্রধান উপদেষ্টার নির্ধারিত সময়সূচি সমর্থন করে কি না। চীনা প্রতিনিধিরা জানান, তাদের নীতি হলো অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, এবং বাংলাদেশেও তারা একই নীতি অনুসরণ করবে।
চীনা প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সিসিপির আন্তর্জাতিক বিভাগের দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ান ব্যুরোর পেং জিউবিন। জামায়াতের প্রতিনিধি দলে ছিলেন সহকারী মহাসচিব রফিকুল ইসলাম খান ও ইহসানুল মাহবুব জোবায়ের, প্রচার সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ এবং নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ও নুরুল ইসলাম বুলবুল।