News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/2qO
স্থান: এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কম্পানিস, বার্সেলোনা
বার্সেলোনা প্রমাণ করে দিয়েছে কেন তারা এখনও ইউরোপিয়ান ফুটবলে ভয়ঙ্কর এক শক্তি। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য দেখিয়েছে কাতালানরা। প্রথমার্ধে রাফিনিয়ার গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিক দল। দ্বিতীয়ার্ধে রবার্ট লেভানডোভস্কি যেন নিজের পুরোনো দলের বিপক্ষে প্রতিশোধের মিশনে নেমেছিলেন। ৪৮ এবং ৬৬ মিনিটে দুটি গোল করেন এই পোলিশ স্ট্রাইকার। এরপর ম্যাচের ৭৭ মিনিটে টিনএজার লামিনে ইয়ামাল একক প্রচেষ্টায় গোল করে বার্সার জয়ের উৎসব আরও বড় করে তোলেন।
ডর্টমুন্ডের একমাত্র উল্লেখযোগ্য সুযোগ আসে দ্বিতীয়ার্ধে গুইরাসির পা থেকে, তবে অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়। পুরো ম্যাচজুড়ে বার্সেলোনার রক্ষণ ও মাঝমাঠ ছিল নিখুঁত সমন্বয়ে। এই ম্যাচে ম্যান অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হন রবার্ট লেভানডোভস্কি দলের হয়ে তিনি করেন ২ গোল, ১ অ্যাসিস্ট।
আগামী ১৬ এপ্রিল, বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১ টায় বুরুশিয়ার ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।
স্থান: পার্ক দে প্রিন্সেস, প্যারিস
অ্যাস্টন ভিলা শুরুতে চমক দেখালেও শেষ হাসি হেসেছে প্যারিসিয়ান জায়ান্ট পিএসজি। ৩৫ মিনিটে মর্গান রজার্সের গোলে এগিয়ে যায় ইংলিশ ক্লাবটি। তবে স্বাগতিকদের ঘুরে দাঁড়াতে বেশি সময় লাগেনি। মাত্র ৪ মিনিট পরেই, ৩৯তম মিনিটে, তরুণ দেজিরে দোয়ে এক দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে সমতা ফেরান। দ্বিতীয়ার্ধে পিএসজি যেন অন্য এক চেহারায় মাঠে নামে। ৪৯ মিনিটে খভিচা গোল করে দলকে এগিয়ে দেন এবং অতিরিক্ত সময়ের ৯২তম মিনিটে নুনো মেন্ডেস গোল করে নিশ্চিত করেন ৩–১ গোলের জয়।
এই ম্যাচে বল দখল এবং আক্রমণ দু’দিকেই আধিপত্য ছিল পিএসজির। মোট ২৭টি শট নেয় তারা, যেখানে অ্যাস্টন ভিলা মাত্র ৫টি শট নিতে পেরেছে। গোলরক্ষক এমি মার্টিনেজ কিছু দারুণ সেভ করলেও ফলাফলে কোনো পরিবর্তন আনতে পারেননি। খেলায় ম্যান অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হন দেজিরে দোয়ে — গোল এবং দুর্দান্ত পারফরম্যান্স, পুরো ম্যাচজুড়ে ছিলেন আক্রমণের প্রাণভোমরা।
আগামী ১৬ এপ্রিল, বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১ টায় ভিলার ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।
দ্বিতীয় লেগের জন্য এখনই প্রস্তুতি নিচ্ছে বার্সেলোনা এবং প্যারিস সেন্ট-জার্মেইন (পিএসজি)। যদিও প্রথম লেগের বিপুল ব্যবধানে জয় নিয়ে তারা একধাপ এগিয়ে রয়েছে, তবে ইউরোপিয়ান ফুটবলে কিছুই অসম্ভব নয়। ডর্টমুন্ড এবং অ্যাস্টন ভিলা নিজেদের মাঠে ফিরে আসার লড়াইয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তাদের লক্ষ্য হবে ঘরের মাঠে শক্তিশালী পুনরুদ্ধার এবং সেমিফাইনালের পথে নিজেদের সুযোগ পুনরুদ্ধার করা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে পৌঁছানোর জন্য এই লড়াই আরও উত্তেজনাপূর্ণ এবং রোমাঞ্চকর হতে যাচ্ছে। দ্বিতীয় লেগে চোখে পড়বে নাটকীয়তা, চমকপ্রদ মুহূর্ত, এবং একসাথে একটি বড় প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ফুটবলপ্রেমীরা যে ধরনের উত্তেজনা এবং আবেগের ভিড় পাবে, তা নিশ্চিতভাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালকে আরও মর্মস্পর্শী করে তুলবে।