ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে বলে সোমবার রাতে জানানো হয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে। এই ভয়াবহ হামলায় অন্তত ৬৬০ জন আহত হয়েছেন। হামলা চলাকালীন বহু মানুষ ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়েছে, যাদের নাম এখনও নিহত বা আহতদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
সোমবার রাত ২টার দিকে আকস্মিকভাবে শুরু হওয়া বোমা হামলায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শত শত মানুষের প্রাণ ঝরে যায়। এই পরিপ্রেক্ষিতে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তার সব হাসপাতালকে জরুরি রক্তদানের আহ্বান জানিয়েছে, কারণ রক্তের সংকট ছাড়াও চিকিৎসকরা পেইনকিলার এবং ব্যান্ডেজের অভাবে কাজ করতে পারছেন না।
গত ১৭ দিন ধরে গাজায় ইসরায়েল সমস্ত ত্রাণ এবং সহায়তা প্রবাহ বন্ধ রেখেছে, যার ফলে স্থানীয় মানুষদের প্রয়োজনীয় সাহায্য থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। স্থানীয়দের মতে, এই হামলা শুধু বর্বরতারই বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং গাজার মানবিক সংকট আরও গভীর করেছে।
ইসরায়েল দাবি করেছে যে হামাস তাদের ওপর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল এবং জিম্মিদের মুক্তি দিতে অস্বীকার করেছিল, তাই তারা এ হামলা চালিয়েছে। তবে হামাস জানিয়েছে, পূর্বে হওয়া চুক্তির অনুযায়ী, যদি ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করে তবে তারা সকল জিম্মিকে মুক্তি দিয়ে দেবে। কিন্তু ইসরায়েল তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
এদিকে, কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, এই নতুন হামলা কয়েক সপ্তাহ আগে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, এবং হামাসের জিম্মি মুক্তির অস্বীকৃতির কারণে হামলা চালানো হয়েছে—এটি সত্য নয়।
গাজার পরিস্থিতি ক্রমেই আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একে একে মানবিক সাহায্য পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছে। তবে তীব্র সামরিক সংঘাতের মধ্যে গাজার জনগণের নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিয়ে আশঙ্কা দিন দিন বাড়ছে।