News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/ei
চলতি বোরো মৌসুমে সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি সপ্তাহে মধ্যে হাওরের শতভাগ জমির পাকা ধান কেটে ফেলেছেন কৃষকেরা। এখন কেউ শুকিয়ে গোলাজাত করছেন অথবা কেউ খলাতে রেখেই বেপারির কাছে ধান বিক্রি করে দিচ্ছেন। উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলীপুর গ্রামের কৃষক আমান উল্লাহ ।
এ বছর তিনি ৮০ একর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। সেখানে থেকে তিনি দেড় হাজার মণ ধান উৎপাদনের আশা করছেন। কৃষক আমান উল্লাহ বলেন, ‘৮০ একর জমিতে আবাদ করতে খরচ হয়েছে ৯ লাখ টাকার মতো। ধানের ভালো দাম পেলে তিন লাখ টাকার মতো লাভ হবে। এ বছর উপজেলার বেশিরভাগ হাওরের ধানের ক্ষেতে রোগ বালাইয়ের আক্রমণ কম হওয়ায়, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং অকাল বণ্যার ঝুঁকি না থাকায় বেশ লাভবান হবেন চাষীরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে মধ্যনগর উপজেলায় ১৩ হাজার ২৮৬ হেক্টর জমিতে বোরো ফসলের আবাদ করেছেন কৃষকেরা। এতে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮১ হাজার মেট্রিক টন। যার বাজার মূল্য ২২০ কোটি টাকার মতো। চলতি সপ্তাহে হাওরের ৯৮ ভাগ জমির ধান কেটেছেন কৃষক।
মধ্যনগর বাজার ধান-চাল আড়ৎদার সমিতির সভাপতি হাজী জহিরুল হক বলেন, ‘মধ্যনগর বাজারে ৩৫ টির মতো ধানের আড়ৎ রয়েছে। প্রতি বছর এই আড়ৎগুলোতে কোটি কোটি টাকার ধান কেনা বেচা হয়। বর্তমানে আমরা মণপ্রতি এক হাজার টাকার ওপর দরে ধান ক্রয় করছি।’ মধ্যনগর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিন কুর্মী জানান, এ বছর সরকার নির্ধারিত মূল্য মণপ্রতি এক হাজার ২৮০ টাকা দরে ধান কেনা হচ্ছে।
ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলায় তিন হাজার ৮শ ৯৫ মেট্রিক টন ধান কৃষকের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে। গত ৭ মে থেকে সরকারিভাবে খাদ্যগুদামে ধান সংগ্রহ শুরু হয়েছে।
মধ্যনগর উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান আল বান্না কালের কণ্ঠকে বলেন, এ বছর হাওরাঞ্চলে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও ফসলে রোগ বালাইয়ের আক্রমণ কম হওয়ার কারণে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে হাওরের শতভাগ ধান কাটা শেষ হবে।