সারাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের অন্তত ৩৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। প্রেস উইং জানায়, গ্রেপ্তারদের মধ্যে সংগঠনটির এক গুরুত্বপূর্ণ সংগঠকও আছেন। তার নাম সাইফুল ইসলাম। আগাম ঘোষণা দিয়ে গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে ‘মার্চ ফর খেলাফত’ নামের মিছিল শুরু করে হিযবুত তাহরীরের সদস্যরা। এক পর্যায়ে পুলিশের বাধার মুখে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এ মিছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, মিছিলে অংশ নেওয়াদের খুঁজতে দেশব্যাপী অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। রাজধানীতে নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীরের মিছিল, পুলিশের বাধারাজধানীতে নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীরের মিছিল, পুলিশের বাধা
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেন, ‘আমরা মিছিলের ভিডিও ফুটেজগুলো পর্যালোচনা করছি। এরই মধ্যে হিযবুত তাহরীরের বহু সদস্যকে আমরা চিহ্নিত করেছে। নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে হিযবুত তাহরীর সদস্যদের নামে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর জননিরাপত্তার জন্য হুমকি বিবেচনায় ধর্মভিত্তিক এ সংগঠনকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। সে সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, দীর্ঘদিন থেকে সংগঠনটির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের পর ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে সংগঠনটি নিষিদ্ধ রয়েছে।
গতবছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার গণ আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হিযবুত অনেকটাই প্রকাশ্যে আসে। গতবছরের ৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংগঠনটির পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে হিযবুত তাহরীর যুক্তরাজ্য, জার্মানি, পাকিস্তান, মিশর এবং মধ্য এশিয়া ও আরব বিশ্বের কয়েকটি দেশে নিষিদ্ধ। ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠার দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নিয়ে লেবাননভিত্তিক সংগঠনটি ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। যুক্তরাজ্য ও পশ্চিমা আরও কিছুসহ ৩২টি দেশে এটির কার্যক্রম রয়েছে। বাংলাদেশে সংগঠনটি নিষিদ্ধ হলেও গোপনে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে।