News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/2d9
চট্টগ্রাম মহানগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানা এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মিজানের সহযোগী মিল্লাতসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নগর পুলিশের উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার আমিনুল ইসলাম। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, গুলি এবং দেশে তৈরি বিভিন্ন অস্ত্র ও মাদক জব্দ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সন্ত্রাসী মিজান গ্রুপ আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ গ্রুপের প্রতিদ্বন্দ্বী। চাঁদাবাজির আধিপত্য নিয়ে তাদের মধ্যে পুরনো দ্বন্দ্ব রয়েছে। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন, মোহাম্মদ মিল্লাত (২৪), মোহাম্মদ আবুল হাসনাত ফাহিম (২০) এবং মো. রুবেল (২৬)। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার তিনজনের বিরুদ্ধে নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনসহ পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আমরা জানতে পারি বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওয়াজেদিয়া এলাকাস্থ ওয়াজেদিয়া মাদ্রাসার পাশে পরিত্যাক্ত ভবনে শীর্ষ সন্ত্রাসী মিজানের সহযোগী মিল্লাতসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অবস্থান করছে। আমরা একটি বিশেষ টিম গঠন করে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করি। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি করে বিদেশি পিস্তল ও পিস্তলের ম্যাগাজিন, নয় রাউন্ড গুলি, একটি করে হাঁসুয়া, ছুরি ও পাওয়ার ব্যাংক, পাঁচটি মোবাইল ফোন ও ১১০টি ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে। তিনি জানান, গ্রেফতার আসামিরা ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও জায়গা দখলের জন্য সেখানে জড়ো হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে আগের একাধিক মামলাও রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষের জানিয়ে আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে গতকাল সাজ্জাদের উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা ছিল। সেজন্য মোট ১৬ জনের শক্ত অভিযানিক টিম আমরা গঠন করেছিলাম। সন্ত্রাসীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব সংঘাত হয়ে থাকে। সাজ্জাদের সাথেও মিজানে গ্রুপের এরকম দ্বন্দ্ব ছিল। আমরা অভিযান চালানোর পর মিজান সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না কেন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সন্ত্রাসী সাজ্জাদ অন্ত্যন্ত কৌশলী। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা আমাদের অব্যাহত আছে। তাকে ট্র্যাক করে আমরা ধরার চেষ্টা করছি। আমরা জানতে পেরেছি, সাজ্জাদ দেশেই আছে। তাকে গ্রেফতারের জন্যেই আমরা গতকাল অভিযান চালিয়েছি।