News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/2cv
চট্টগ্রাম বন্দরে র প্রাথমিক পর্যায়ে প্রস্তুত হওয়া এক্স ওয়াই শেডকে ফেলে না রেখে আপাতত ব্যাকআপ ইয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করবে কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জায়গায় বহু বছর ধরে পড়ে থাকা ৩৫৪ পণ্যবাহী কনটেইনার সরিয়ে এক্স ওয়াই শেডে নিয়ে আসা হবে। এজন্য গত ২৩ ফেব্রুয়ারি একটি দরপত্র আহ্বান করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এর আগে চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে কনটেইনার খুলে পণ্য ডেলিভারির প্রচলিত প্রথা থেকে সরে আসতে বন্দরের পুরাতন এক্স ওয়াই শেডকে প্রস্তুত করা হয়েছিল। তবে সেই পরিকল্পনাকে আরো বড় করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। শুধু এলসিএল কার্গো ডেলিভারি নয়, এবার এক্স ওয়াই শেডকে পুরোদমে একটি পূর্ণাঙ্গ অফডক হিসেবে ব্যবহারের জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, এই এক্স ওয়াই শেডকে ওয়ারহাউস হিসেবে ব্যবহারের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) আবেদন করা হয়। তারই প্রেক্ষিতে এনবিআর গত বছরের (২০২৪) ১৭ মে এই এক্স ওয়াই শেডের ১৫ দশমিক ৪১ একর জায়গাকে ওয়্যারহাউস হিসেবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। চট্টগ্রাম বন্দরের চার নম্বর গেট থেকে ২ দশমিক ২ কিলোমিটার দূরত্বে বন্দর স্টেডিয়াম সংলগ্ন পুরাতন ‘এক্স’ এবং ‘ওয়াই’ নামের দুটি শেড রয়েছে পাঁচ একর জমির ওপর। সেই এক্স ও ওয়াই শেড দুটির আয়তন ১৮ হাজার ৯০৬ বর্গমিটার। আর পুরো জায়গা ১৫ দশমিক ৪১ একর। এক সময়ে বন্দরের এই পরিত্যক্ত শেড দুটি সংস্কার, সড়ক ও ইয়ার্ড নির্মাণসহ পুরো কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বে-কার্গো সেন্টার নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বন্দর কর্তৃপক্ষ পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি করে। চুক্তির পরপরই শেড দুটি সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়। এই শেডের কার্যক্রম শুরু করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে বন্ড লাইসেন্সের আবেদন করে চট্টগ্রাম বন্দর। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সাথে ২০২৩ সালের ১৪ জুন বৈঠক করে কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। সার্বিক বিবেচনায় এনবিআর বন্দরকে অনুমাতিও দেয়। তবে শেষ পর্যন্ত বে কার্গো সেন্টারের সাথে বন্দরের চুক্তি বাতিল হয়ে যায়। এবার সেই জায়গাটি বন্দর কর্তৃপক্ষ অফডক হিসেবে পরিচালনার প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।