ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি খাবারের স্টল, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ফুলের টব ও উৎসবের ব্যানার-ফেস্টুন। রাস্তায় গাড়ির ভাঙা অংশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ভাঙচুরের কারণে দোকানিরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তবে ডিসি পার্ক আবার দর্শনার্থীদের জন্য প্রস্তুত করতে দল বেঁধে শ্রমিকরা কাজ করছেন। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ডিসি পার্কে হামলার এমনই চিত্র পাওয়া যায়।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে ডিসি পার্কের সামনে লরি পার্কিং নিয়ে পার্কের কর্মচারীদের সঙ্গে লরি শ্রমিকদের কথা-কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। পরে লরি শ্রমিকরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে ভাঙচুর চালায়। এ সময় সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
লরি শ্রমিকরা চার দফা দাবিতে বন্দর এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন। বৈষম্যের বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাত্র প্রতিনিধিরা শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসলে সমাধান শেষে পরে যান চলাচল পুনরায় শুরু হয়।
সীতাকুণ্ড সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে জানান, সকাল থেকে সবকিছু স্বাভাবিক হয়েছে। গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে এবং ফুল উৎসবের টিকিট বিক্রিও হচ্ছে। দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেছে। কর্মচারী ও শ্রমিকরা পুনরায় কাজে যোগ দিয়েছেন।
ডিসি পার্কে গত ৪ জানুয়ারি মাসব্যাপী ফুল উৎসব শুরু হয়। এখানে দেশি-বিদেশি ১৩৬ প্রজাতির এক লাখেরও বেশি ফুল প্রদর্শিত হচ্ছে। রয়েছে ভাসমান ফুলের বাগান, দৃষ্টিনন্দন পানির ফোয়ারা ও ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ মেলা।
প্রতিদিনই ডিসি পার্কে ৫ থেকে ৮ হাজার দর্শনার্থী আসেন। ছুটির দিনে এই সংখ্যা ২০ থেকে ৩০ হাজারে পৌঁছায়। ৬ ফেব্রুয়ারি নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ফুল উৎসবের সমাপনী উপলক্ষে একটি কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে প্রধান আকর্ষণ হিসেবে থাকবেন নগর বাউল।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সাল থেকে ডিসি পার্কে ফুল উৎসব আয়োজন শুরু হয়।