News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/20V
বর্তমান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে ভেঙে একটি উচ্চ পুনর্গঠন কমিটি গঠন করে নতুনভাবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ন করাসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে কমিশনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। দাবিগুলো হলো:
১। অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে অবশ্যই একটি নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
২। ক্ষতিগ্রস্ত মানবাধিকার কর্মী যথাক্রমে নিহত, নিখোঁজ (গুম) ও আহতদের নামের তালিকা তৈরি করে নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে অবশ্যই সরকারের দালালি করার কাজে নিয়োজিত করা যাবে না। এটিকে একটি নিরপেক্ষ ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপ দিতে হবে।
৪। বিগত স্বৈরাচার সরকার ও কামাল উদ্দিন বাহিনীর হাতে নির্যাতিত মানবাধিকার কর্মী যথাক্রমে নিহত, নিখোঁজ (গুম) ও আহতদের উপযুক্ত ক্ষতি পূরণ দিতে হবে।
৫। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সরাসরি হস্তক্ষেপে ও চাপ দিয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের তিনটি রেজিস্ট্রেশন স্থগিত রয়েছে। স্থগিত নিবন্ধনগুলো পুনরায় চালু করতে হবে।
৬। স্বৈরাচার সরকারের দোসর সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী, ফরমায়েশি বিচারপতি ও বিচারকদের তালিকা তৈরি করে অবিলম্বে তাদের অপসারণ করতে হবে।
৭। মৃত্যু দণ্ড আইন বাংলাদেশে বাতিল বা রোহিত করতে হবে।
৮। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আইন সংশোধন করতে হবে।
৯। ৯০ কর্ম দিবসের মধ্যে বিচার কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, উপস্থাপিত এ দাবিগুলো মানবাধিকার কর্মীদের নিরাপত্তাসহ সারা দেশে ১৭ কোটি মানুষের দাবি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই দাবি বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মেনে নেওয়ার জোড় আহ্বান জানানো হয়। সরকার আমাদের দাবিগুলো না মানলে চার সপ্তাহ পর থেকে সারা দেশ ও বিদেশের শাখাগুলো একযুগে নিজ নিজ এলাকায় শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট ও স্মারকলিপি পেশ করবে। বিএইচআরসি’র সভাপতি প্রকৌশলী কাজী রেজাউল মোস্তফার সভাপতিত্বে কমিশনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।