ওয়াশিংটন ডিসির আকাশে মাঝ পথে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমানের সঙ্গে মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ হেলিকপ্টারের সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্ধারকর্মীরা নদী থেকে ১৯টি ‘দেহ’ উদ্ধার করেছে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক টেলিভিশন নেটওয়ার্ক সিবিএস টেলিভিশন খবর সূত্রে জানা যায়।
এ বিষয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করেছে এবং এখন পর্যন্ত জীবিত কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বোম্বারডিয়ার সিআরজে৭০০ উড়োজাহাজটিতে ৬০ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু ছিলেন। আর মার্কিন সামরিক বাহিনীর ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারে ছিলেন তিনজন, তারা সকলেই মার্কিন সেনা।
বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে রিগ্যান ওয়াশিংটন জাতীয় বিমানবনন্দরের কাছে ঘটনাটি ঘটে। ওই সময় উড়োজাহাজটি বিমানবন্দরের রানওয়ে ৩৩ এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। সংঘর্ষের পর উড়োজাহাজটি পটোম্যাক নদীতে বিধ্বস্ত হয়। তবে, কর্তৃপক্ষ এখনও নিহতদের সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারেনি। শিগগিরই এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্রিফিং দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ঘটনাটি ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কাছে ঘটেছে, যেখানে একটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার, যা একটি প্রশিক্ষণ ফ্লাইটে ছিল, আমেরিকান এয়ারলাইন্সের আঞ্চলিক যাত্রীবাহী বিমানের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। হেলিকপ্টারটি ভার্জিনিয়া রাজ্যের ফোর্ট বেলভোয়ারের ১২তম এভিয়েশন ব্যাটালিয়নের অন্তর্গত ছিল।
দুর্ঘটনার পর উল্লিখিত এলাকায় একটি ব্যাপক অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। পোটোম্যাক নদীতে বিধ্বস্ত দুটি যান থেকে আরেকটি বড় অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। বিমানবন্দরটির আশেপাশে সমস্ত বিমান ওঠানামা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে, মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে ঘটনাটির গভীর তদন্ত চলছে এবং ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই ঘটনার বিষয়ে অবহিত হয়েছেন এবং তিনি নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন।
এটি একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা এবং এখন পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।