News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/1SF
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা দিয়ে বয়ে গেছে ঘাঘট নদী। এই নদীটির ২০ কিলোমিটারের মধ্যে আট স্থানে ডিঙি নৌকা ও বাঁশ-কাঠের সাঁকো দিয়ে চলাচল করে লক্ষাধিক মানুষ। তবে, এসব সাঁকো ও নৌকার নড়বড়ে অবস্থা এবং বারবার দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়ে স্থানীয় জনগণ চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।
স্থানীয় শিক্ষকরা বলেন, ঘাঘটের বিভিন্ন স্থানে সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর বাস্তবায়ন হলে শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি সম্ভব হবে, পাশাপাশি এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মানও উন্নত হবে।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. মেনাজ জানান, ঘাঘটের ওপর একাধিক স্থানে ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে চান্দের বাজার ইব্রা মণ্ডলের ঘাটে ব্রিজ নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে, ঘাঘট তীরের বাসিন্দা নবির উদ্দিন ব্যাপারী বলেন, "স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও এসব ঘাটের উন্নয়ন হয়নি।" তিনি আরও বলেন, বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নৌকায় পারাপার করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে, আর শুকনো মৌসুমে স্থানীয়রা অর্থনৈতিক খরচের মাধ্যমে কাঠ-বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে, যা প্রতি বছর পুনঃসংস্কার করতে হয়। তবে এসব সাঁকো কখনোই যথেষ্ট নিরাপদ নয়, এবং সরকারি কোনো বরাদ্দও মেলেনি।
নদীর ঘাটগুলো দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন পেশাজীবী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন। বর্ষা মৌসুমে নদীভর্তি পানির কারণে দুর্গতি আরও বেড়ে যায়। বিশেষ করে রোগী যখন অসুস্থ হয়ে পড়েন, তখন তাদের জীবনের নিরাপত্তা সম্পূর্ণভাবে সময়ের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
ঘাঘট নদীর ৮টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, যেমন নলডাঙ্গার শ্রীরামপুর, রসুলপুরের মহিশবান্দী দ্বীপচর, বনগ্রামের টুনিচর, দামোদরপুরের সিটজামুডাঙ্গা, চকশালাইপুর-ভাঙ্গামোড় এবং চান্দের বাজার এলাকার ইব্রা মণ্ডলের ঘাটে প্রতিদিন লাখো মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
নির্বাচন আসলে নদীর তীরের মানুষদের জন্য সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন অনেক জনপ্রতিনিধি, তবে ওই প্রতিশ্রুতি কখনোই বাস্তবায়ন হয়নি। স্থানীয়রা এখন সেতু নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান, যাতে তাদের দুর্ভোগের অবসান ঘটে এবং জীবনযাত্রা নিরাপদ হয়।