চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বাণিজ্য মেলায় বিএনপি-যুবদল মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে জাহেদ হোসেন মুন্না (২০) নামের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৫ জন। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মিরসরাই পৌর সদরে এ ঘটনা ঘটে। এই সময় আরো বেশ কয়েকজন গুরুত্বর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নিহতের ঘটনায় পরিবার বাদি হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ্য করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, মিরসরাই পৌরসভা যুবদলের আহবায়ক কামরুল হাসান (৩৭), নাজমুস সাকিব মারুফ (২২), শাহ আলম (৪৭), মো. আরমান (২৬)।
এই ঘটনার পর থেকে মিরসরাই স্টেডিয়ামে বাণিজ্যমেলায় থমথমে অবস্থায় বিরাজ করছে। মেলার ভিতরে দোকান-পাট বন্ধ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যার পর মিরসরাই সিএনজি'র টোল আদায়কে কেন্দ্র করে মিরসরাই পৌর যুবদলের আহবায়ক কামরুল হাসান ও পৌর বিএনপি'র সদস্য সচিব জাহিদ হোসেনের কর্মীদের বাকবিতণ্ডা ও তর্কাতর্কি হামলা পাল্টা হামলায় গুরুতর আহত স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী মুন্না (২২) গুরুতর আহত হোন।
স্টেডিয়ামে বাণিজ্যমেলায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান গ্রুপের অনুসারী পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব জাহিদ হুসাইনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে একই গ্রুপের পৌরসভা যুবদলের আহবায়ক কামরুল হাসানের নেতাকর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে রাত ১১টার দিকে কামরুলের গ্রুপের নেতাকর্মীরা জাহিদ হুসাইনের বাড়ি এবং তার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় বেশ কয়েকজন গুরুত্বর আহত হয়। পরে জাহেদ হোসেন মুন্না নামের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়।
মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, নিহতের ঘটনায় ১১ জনের নামে হত্যা মামলা হয়েছে। হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা মিরসরাই পৌরসভা যুবদলের আহবায়ক কামরুল হাসানসহ ৪জন গ্রেফতার করে আদালাতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।