কক্সবাজারের সিগাল পয়েন্টে একটি সন্ত্রাসী হামলায় ৫৫ বছর বয়সী গোলাম রব্বানী নামে এক পর্যটক নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা, সে খুলনার দৌলত পুরের দেয়ানা উত্তর পাড়ার গোলাম আকবরের পুত্র। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে সৈকতের কাঠের ব্রিজের পাশে গুলির শব্দ শোনা যায়, পরে এক পর্যটক অটোরিকশায় করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে।
সৈকতে ঘটে যাওয়া এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে কক্সবাজার শহরের হোটেলগুলোতে থাকা পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই নিরাপত্তার অভাবে রাতের মধ্যে হোটেল ছেড়ে শহর ছেড়ে চলে গেছেন। একাধিক পর্যটক জানিয়েছেন, তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থার অবস্থা দেখে নিজেরা আতঙ্কিত এবং হোটেল বুকিং বাতিল করেছেন।
কক্সবাজারে বেড়ে চলা অপরাধ, পর্যটকদের জন্য ঝুঁকি :
কক্সবাজারের সৈকত এলাকায় গত কিছুদিন ধরেই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে। বিশেষ করে অন্ধকারাচ্ছন্ন ঝাউবিথীতে ছিনতাই ও রাহজানি নিয়মিত ঘটছে, যার ফলে পর্যটকরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। একাধিক সন্ত্রাসী দল সৈকতের নির্জন জায়গাগুলোকে তাদের অভয়ারণ্য হিসেবে ব্যবহার করছে, ফলে অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ঘটনার পর পুলিশ দ্রুতই অভিযান শুরু করেছে এবং হত্যাকারীদের ধরতে বিভিন্ন টিম মাঠে কাজ করছে। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অপরাধীকে শনাক্ত করতে তাদের কাজ চলছে এবং পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে, ব্যবসায়ী মহল এবং স্থানীয়রা এই ধরনের ঘটনা বাড়তে থাকলে কক্সবাজারের পর্যটন খাতের ওপর এর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন।