র্যাব-৭, সিপিসি-১, ফেনী ক্যাম্প অভিযান চালিয়ে ৪৮ কেজি গাঁজা সহ দুই জন পেশাদার মাদক কারবারিকে আটক করেছে। এসময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিক-আপ গাড়িও জব্দ করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিষয়টি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন অপারেশন কমান্ডার- এএসপি রবিউল হাসান সরকার।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৭ এর সদস্যরা জানতে পারেন যে, কিছু মাদক ব্যবসায়ী কুমিল্লা জেলার মিয়ার বাজার থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন। সংবাদটি নিশ্চিত হওয়ার পর র্যাবের একটি টিম ফেনী মডেল থানার আওতাধীন ফতেহপুর এলাকায় একটি অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে। সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ ঘটিকায়, সন্দেহজনক হলুদ ও নীল রঙের একটি পিক-আপ গাড়িকে থামানোর সংকেত দিলে গাড়িটি র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে। তবে র্যাবের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে পিক-আপসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করতে সক্ষম হন।
পরে গাড়ির তল্লাশী চালিয়ে পিক-আপের পেছনে থাকা তিনটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তা থেকে মোট ৪৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি বান্ডেলে ৪ কেজি করে গাঁজা ছিল এবং প্রতিটি বান্ডেল কালো পলিথিনে মোড়ানো ছিল। উদ্ধার হওয়া গাঁজার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা বলে জানানো হয়েছে।
আটককৃত আসামীরা হলেন, মো: মামুন মিয়া (৪২), সে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার রাজা মিয়া ও সকিনা দম্পতির ছেলে অপর আটককৃত মো: নুরুন্নবী (৩৯), সে ফেনী জেলার সোনাগাজী থানার মো. আব্দুল হক ও মনোয়ারা বেগম দম্পতির ছেলে। ধৃত আসামিরা জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর সহযোগিতায় ফেনী ও কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে কম দামে গাঁজা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামসহ পার্শ্ববর্তী জেলার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে আসছিল।
র্যাব-৭, সিপিসি-১, ফেনী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সাদেকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে ফেনী সদর থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।