News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/1GT
লটারি পদ্ধতিতে নান্দাইল চন্ডীপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েও পড়ার সুযোগ পাচ্ছে না ১৪ শিক্ষার্থী। রবিবার (ডিসেম্বর) এমন নোটিশ দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই খবর শুনে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নান্দাইল সদরে অবস্থিত চন্ডীপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির আবেদন করে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী। তাদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে ভর্তির সুযোগ পায় ১০৯ জন শিক্ষার্থী। আগামী মঙ্গলবার ভর্তি শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়। রবিবার পর্যন্ত ৮৫ জন শিক্ষার্থী এক হাজার ৪৩০ টাকা জমা দিয়ে ভর্তি ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। এদের মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয় উপজেলা চন্ডীপাশা এলাকার মো. হেলাল উদ্দিনের ছেলে আদনান ওয়ালিদ।
সকালে বাবা-মায়ের সঙ্গে ভর্তি হয়ে আনন্দে বাড়ি ফেরে আদনান। কিছুক্ষণ পরেই মা জ্যোৎস্না বেগমের মোবাইল ফোন আসে, 'ছেলের বয়স ১২ বছরের ওপরে। এ অবস্থায় ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। ভর্তির টাকা নিয়ে যান।
আদনানের মা জানান, 'গত বছর ছেলে ভর্তির সুযোগ পায়নি। তাই ছেলের ইচ্ছে পুরণে এ বছর আবেদন করি। যথানিয়মে আবেদন করে লটারিতে সুযোগ পেয়ে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু নীতিমালার কথা বলে ছেলের ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। এতে ছেলের মানসিক অবস্থা খারাপ হয়েছে। এখন কী করব বুঝতে পারছি না।'
চন্ডীপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম মোস্তুফা জানান, নীতিমালায় আছে ১০ বছরের কম ও ১২ বছরের বেশি কাউকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করানো যাবে না। এই নীতিমালা অনুসরণ করায় ১৪ জনের ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। তাহলে অনলাইনে আবেদন গ্রহণযোগ্য হলো কিভাবে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, এটা বোর্ড ভালো জানে।
ময়মনসিংহ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) লুৎফুন নাহার জানান, এ বিষয়ে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।