News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/1GK
ফেনীর সোনাগাজীতে উপজেলা ও পৌর বিএনপির ৩ জন করে একটি আংশিক আহবায়ক কমিটি তালিকা প্রকাশ করেছে ফেনী জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলালের স্বাক্ষরিত জেলা বিএনপির একটি প্যাডে উপজলা ও পৌর কমিটির তালিকায় আহবায়ক হিসেবে জয়নাল আবেদীন বাবলুক আহবায়ক সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টু সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রদল সভাপতি সৈয়দ আলম ভুঞার নাম সদস্য সচিব হিসেবে প্রকাশ পায়।
অপরদিকে জেলা বিএনপির অপর একটি প্যাডে মনজুর হোসেন বাবরকে পৌর বিএনপির আহবায়ক ও এয়াছিন কমিশনারকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং নিজাম উদ্দিনকে সদস্য সচিব করে পৌর বিএনপির আহবায়ক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার পরপর বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের একটি গ্রুপ নেতাকর্মীদের মাঝে মিষ্টি বিতরন করেন।
অন্যদিকে কমিটি ঘোষণার পরপর সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টু সমর্থকরা সোনাগাজী পৌরশহরের জিরো পয়েন্টে প্রকাশিত কমিটির বিপক্ষে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান ধর্মঘট এবং সংবাদ সম্মেলন করে। বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৪ নং মতিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমির উদ্দিন দোলন,পৌর বিএনপির সদ্য সাবেক সভাপতি আবুল মোবারক দুলাল ভিপি, বিএনপির নেতা জসিম উদ্দিন লন্ডনী,সাবেক ছাত্রদল নেতা কামরুল ইসলাম সহ কয়েকসহ নেতাকর্মী।
সংবাদ সম্মেলনে আমির উদ্দিন দোলন সাংবাদিকদের জানান, আহবায়ক ছাড়া সদস্য সচিব কিভাবে একক কমিটির তালিকায় স্বাক্ষর করে আবার তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে তা আমার বোধগম্য নয় আমরা এধরনের পকেট কমিটি কখনও মেনে নিবো না।
প্রসঙ্গতঃ সদ্য উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জয়নাল আবপদীন বাবলু ইতিপূর্বেও উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসাবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। সদস্য সচিব সৈয়দ আলম ভূঞা সাবেক ছাত্রদল ও জেলা সেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
উপজেলা বিএনপির সদ্য সদস্য সচিব সৈয়দ আলম ভুঞা জানান, আমার পেশা নেশা রাজনীতি। জীবনে অধিকাংশ সময় জাতীয়তাবাদী দলের জন্য দিয়েছি। বাকিটুকুও দিতে চাই।
কমিটি সিনিয়র যুগ্মআহবায়ক হিসেবে স্থান পাওয়া সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র জামাল উদ্দিন সেন্টু বলেন, একজনের স্বাক্ষরিত কমিটি অবৈধ এটা আমি মানিনা। একটি অবৈধ পকেট কমিটিতে আমার নাম রাখা ভিত্তিহীন নিন্দনীয়।
বিষয়টি নিয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল জানান,আমি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত আহমেদ আযম খাঁনের নির্দেশ না মেনে কমিটির আংশিক অনুমোদন করেছি। বিষয়টি জানতে জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহারকে তার মোঠোফোনে একাধিক বার কল দিলে তিনি রিসিভ করেব নাই।