আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল গণির (৫৪) হাত-পা ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। একই সময় গণির ভাই ইউপি সদস্য বাহার মাহমুদ (৩৫) ও ভাগ্নে সিফাতকেও (১৬) আহত করে তারা।

শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় চরএলাহী ইউনিয়নের নামার বাজার এলাকার ইউছুফের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় আবদুল গণি ও সিফাতকে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জানা যায়, চরএলাহী ইউনিয়নের উড়িরচর এলাকায় খাস জমি দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনায় গত ১০ এপ্রিল আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল গণির লোকজন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম ও সহসভাপতি শেখ বেলালসহ ১৫ জনকে পিটিয়ে আহত করে। ওই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও কোনো বিচার না হওয়ায় গণির ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানায়।

হামালায় আহত আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল গণি অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী গোলাম শরীফ পিপলের পক্ষে ওয়ার্ডের কর্মীদের সঙ্গে মিটিং করে বিদায় দেয়ার পর চরএলাহী ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাকসহ তার অনুসারীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় তারা আমি, আমার ভাই ও ভাগ্নেকে বেদম মারধর করে।

চরএলাহী ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক তার বিরুদ্ধে আনিত এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যুবলীগের নেতাকর্মীদেরকে পুনরায় মারধর করার পরিকল্পনা করলে স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে সভাপতি আবদুল গণিসহ তার ভাই ও ভাগ্নেকে মারধর করে। এ সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠাই।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি প্রনব চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় এখনও কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।