News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/1vg
পাকিস্তানের পারাচিনার শহরে যাত্রীবাহী বাসে সংঘটিত ভয়াবহ হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪০ জন। নিরাপত্তারক্ষীদের পাহারায় থাকা এই বহরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি বর্ষণ করা হয়। হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার (২২ নভেম্বর) শত শত মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তা জাভেদুল্লাহ মেহসুদ জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ জনে পৌঁছেছে। তার মধ্যে আটজন নারী। আহত ২৯ জনের মধ্যে নয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাসপাতালের একজন চিকিৎসক ও মেহসুদ উভয়েই নিশ্চিত করেছেন যে নিহতরা সবাই শিয়া সম্প্রদায়ের।
আফগান সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এই এলাকায় সুন্নি ও শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। ২৪ কোটি মানুষের দেশে শিয়া সম্প্রদায়ের সদস্যরা সংখ্যালঘু। তারা প্রায়ই তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) নামক সুন্নি ইসলামপন্থি গোষ্ঠীর হামলার শিকার হয়। টিটিপি শিয়াদের বিধর্মী হিসেবে বিবেচনা করে।
এখনও পর্যন্ত কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে মেহসুদ জানিয়েছেন, প্রতিশোধমূলক হামলায় দুই সুন্নি মুসলিম নিহত হয়েছেন।
হামলার পর পারাচিনার শহর অচল হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পরিবহন ও অন্যান্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, শত শত বিক্ষুব্ধ জনতা মূল বাজারে জড়ো হয়েছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে আছে।
আহতদের একজন জামশেদ হোসেন ফোনে জানিয়েছেন, তারা পুলিশের নিরাপত্তা নিয়ে ভ্রমণ করছিলেন। বহরের কিছু মানুষ হঠাৎ থেমে হামলা চালায়। প্রথমেই নিরাপত্তা রক্ষীদের দিকে, এরপর দুই পাশ থেকে গাড়িগুলোর ওপর গুলি চালানো শুরু করে তারা।