চট্টগ্রাম নগরীতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় মিরসরাই কলেজের ছাত্র কক্সবাজারের জয়দীপ দাশকে। ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার ভোর রাতে খুন হয় জয়দীপ। এ ঘটনায় জয়দীপের মা শিক্ষিকা জয়শ্রী পাল বাদী হয়ে ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, মামলার প্রধান আসামি শহিদুল গ্রেফতার হলে ৩ দিনের রিমান্ড দেয় আদালত। বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বর্তমানে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করেন আদালত। তবে আসামির জামিন হওয়ায় হতাশ নিহতের পরিবার।
জয়দীপের মা জানান, ২ নং আসামির পিতা কক্সবাজারের প্রভাবশালী আ.লীগ নেতা হওয়ায় বিগত সরকারের আমলে ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে মামলাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা করেছেন। আমি একজন স্কুল শিক্ষিকা, আমি অসহায় আমি রাষ্ট্রের কাছে আমার একমাত্র ছেলে হত্যার বিচার চাই।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর উসান ও উৎস নামে দুইভাই আমার ছেলেকে ফোন করে জানায়, এলাকার অপু দাশের ভাইয়ের বিয়েতে যেতে হবে। অনেকটা জোর করে কক্সবাজার থেকে বরযাত্রী হিসেবে পটিয়া একটি কনভেনশন হলে নিয়ে আসে বন্ধু অনিরুদ্ধ বড়ুয়া উসান। পরিকল্পনা মাফিক বিয়েতে মোটরসাইকেল নিয়ে যোগ দেয় উসানের পূর্বপরিচিত চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়ার শহিদুল ইসলাম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শাহিনসহ আরও ২ জন।
পরবর্তীতে মোটরসাইকেলে জয়দীপ ও পেছনে উসান বড়ুয়াকে নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর উদ্দেশ্য রওনা দেয় শহিদুল ইসলাম ওরফে সাজ্জাদ। রাত দেড়টায় নগরীর কোতোয়ালি থানা এলাকায় জয়দীপকে মোটরসাইকেলের মাঝখানে বসানোর একটি ভিডিও ধারন করে পেছনে বসা আসামি উসান বড়ুয়া নিজে, ভিডিও ধারনের পরপরই বন্ধ করা হয় তাদের ব্যবহৃত মোবাইল। রাত ৩ টা ১৩ মিনিটে জয়দীপের ফোনে অমিত নামক উসানের আরেক বন্ধু কল দিয়ে ১৩ সেকেন্ড কথা বলেন, যদিও তার আগেই মারা যান জয়দীপ। মৃত্য নিশ্চিত হওয়ার পরে রাত সাড়ে ৪ টায় বিভিন্ন স্বজনদের মাধ্যমে জয়দীপের পরিবারকে জানানো হয় সড়ক দুর্ঘটনায় জয়দীপ মারা গেছে লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেলে আছে