বাংলাদেশে প্রায় ৫০ লাখ শিশু কিডনি রোগে ভুগছে। এর মধ্যে আড়াই লাখ শিশু ক্রনিক কিডনি রোগে ভুগছে। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের বহির্বিভাগের রোগীদের মধ্যে ৪ থেকে ৫ শতাংশ শিশু কিডনির সমস্যা নিয়ে আসে। রোববার (২৭ অক্টোবর) শিশুর কিডনি বিকল রোগে পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস প্রশিক্ষণে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তারা এ কথা জানান।

২অধ্যাপক আজমেরি সুলতানার হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন অধ্যাপক নাজমুন নাহার সম্মেলনে বক্তারা বলেন, জনসচেতনতার অভাব এবং যথাযথ নজরদারিত্ব না থাকায় কিডনি রোগীর সংখ্যার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে কিডনিজনিত সমস্যায় প্রায় দুই কোটি রোগী থাকতে পারে, যাদের মধ্যে ৫০ লাখ শিশু। তারা বলেন, জন্মগত সমস্যা, ডায়রিয়ার পরে অ্যাকিউট কিডনী ফেইলিওর এবং নেফ্রাইটিসের প্রদাহ শিশুদের কিডনি রোগের প্রধান কারণ। ডায়রিয়ার কারণে শিশুর কিডনি বিকল হওয়ার শঙ্কা প্রাপ্তবয়স্কের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেশি।

গত শনিবার শুরু হওয়া সম্মেলনটি দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস নিয়ে ১০টি সেশনের মাধ্যমে ২৭ অক্টোবর শেষ হয়। ডা. এম আর খান শিশু হাসপাতাল ও শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (আইসিএইচ) আয়োজিত ‘দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক আইপিএনএ সমর্থিত পেডিয়াট্রিক একিউট কিডনি ইনজুরি, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস: পিডিকেআইডিএস- ২০২৪’ শীর্ষক এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেন দেশি-বিদেশি ২০০-এর বেশি চিকিৎসক ও নার্স। সম্মেলনে ভারত, সিঙ্গাপুর, আমেরিকা, থাইল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলংকা থেকে অংশ নিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।