রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতীতে তার বিরোধীদের দেশে ফিরে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বক্তব্য থেকে বোঝা যায় যে, আদালতে উপস্থিত হওয়া তার জন্যও ইতিবাচক হতে পারে।
এটর্নি জেনারেল উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন, প্রতিটি আসামির উচিত আদালতে এসে বিচারের সম্মুখীন হওয়া। গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলের বিষয়ে তিনি জানান, আসামির অবস্থান নিশ্চিত হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা যেতে পারে, এবং ইন্টারপোলের সহযোগিতা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে, তিনি সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়কে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন। এ রায়ের ফলে বিচার বিভাগ রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের রিভিউ আবেদনের প্রসঙ্গে এটর্নি জেনারেল বলেন, তাদের মতে, ৯৪টি গ্রাউন্ডের মধ্যে কোনো একটি গ্রাউন্ডও মামলার রিভিউয়ের জন্য যথাযথ নয়।
অবশেষে, আপিল বিভাগের রায়ে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছ থেকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে ফিরে এসেছে, যা সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের সংশোধনী বহাল রেখেছে।
সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা:
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, এবং রিটকারি পক্ষের হয়ে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরশেদ।