পাসপোর্ট ব্যবস্থা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ১০২ বছর ধরে চালু রয়েছে। এটি একটি অপরিহার্য কাগজপত্র যা আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য প্রয়োজন। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, এবং সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য কূটনৈতিক পাসপোর্টের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে, এমন তিনজন ব্যক্তি আছেন যারা কখনোই পাসপোর্ট ছাড়াই আন্তর্জাতিক ভ্রমণ করতে পারেন এবং তাদের প্রতি বিশেষ সম্মান দেখানো হয়।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই পাসপোর্টের গুরুত্ব বোঝা যায় এবং ১৯২৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন পাসপোর্ট ব্যবস্থা চালু করে। বর্তমানে, পৃথিবীর ২০০টিরও বেশি দেশে ৮০০ কোটি মানুষের মধ্যে তিনজন ব্যক্তির জন্য এই নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটেছে।
এই তিনজন বিশেষ ব্যক্তি হলেন:
ব্রিটেনের রাজা: চার্লস, ব্রিটেনের রাজা হওয়ার পর, তাকে সম্মানের সঙ্গে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয় এবং তার জন্য পাসপোর্টের প্রয়োজন হয় না। তবে, তার স্ত্রী এবং রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট অবশ্যই বহন করতে হয়।
জাপানের সম্রাট: বর্তমান সম্রাট নারুহিতো এবং তার স্ত্রী মাসাকো, এই সুবিধা উপভোগ করেন। সম্রাটের পিতা আকিহিতো সম্রাট থাকাকালীন তাদের পাসপোর্টের প্রয়োজন ছিল না, কিন্তু এখন কূটনৈতিক পাসপোর্ট রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
জাপানের সম্রাজ্ঞী: সম্রাজ্ঞী মাসাকোও একইভাবে পাসপোর্ট ছাড়াই আন্তর্জাতিক ভ্রমণ করেন, কিন্তু বর্তমানে তাদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট নিয়ে চলতে হয়।
বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট থাকা বাধ্যতামূলক, কিন্তু তারা কনস্যুলার পাসপোর্ট ব্যবহার করেন। ভ্রমণকালে তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা এবং নিরাপত্তা চেক থেকে অব্যাহতি পাওয়া যায়।
এই বিশেষ সুবিধাগুলি ইতিহাসের পরিবর্তনের সঙ্গে এসেছে, এবং বর্তমানে বিশ্ব রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।