রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত ছয়টি কমিশন ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে, তবে নতুন চারটি কমিশনের গেজেট এখনো প্রকাশিত হয়নি। প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার জানিয়েছেন, পূর্ববর্তী ছয়টি কমিশন গেজেট প্রকাশের পর থেকেই কাজ করছে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে কমিশনগুলোর গেজেট প্রকাশিত হয়েছে, যা হলো: বিচার বিভাগ, পুলিশ, জনপ্রশাসন, নির্বাচন, এবং দুর্নীতি দমন কমিশন।
১৭ অক্টোবর নতুন চারটি কমিশনের নাম ঘোষণা করেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। নতুন কমিশনগুলোর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন: স্বাস্থ্য কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান, গণমাধ্যম কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ, শ্রমিক অধিকার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতানউদ্দিন আহমেদ, এবং নারী বিষয়ক কমিশনের প্রধান শিরিন পারভীন হক। শিরিন পারভীন জানিয়েছেন, কমিশনের কাজ শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য এখনও পাননি।
প্রত্যেক কমিশন তাদের ক্ষেত্রে সংস্কারের সুপারিশ করবে এবং কমিশনের মেয়াদ গেজেট প্রকাশের দিন থেকে ছয় মাস। কমিশন প্রধান ও সদস্যরা পূর্ণকালীনভাবে কাজ করবেন এবং তাদের জন্য অফিস ও সাচিবিক সহায়তা দেয়া হবে। তারা প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টাকে দাখিল করবেন।
গেজেট হওয়া কমিশনের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক ও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছেন। তারা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করতেও প্রস্তুত। নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন সম্পর্কে অধ্যাপক ড. জাহেদ উর রহমান বলেছেন, তারা নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের সুপারিশ করতে কাজ করছেন।
পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক শাহনাজ হুদা জানান, তারা একটি জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী গঠনের জন্য কাজ করছেন। জন প্রশাসন কমিশনের সদস্য এ কে এম ফিরোজ আহমেদ বলেছেন, তারা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছেন।
এই সংস্কার কমিশনগুলো সরকারের প্রতি জনসাধারণের আস্থা বাড়ানোর চেষ্টা করছে এবং তাদের কাজের মাধ্যমে একটি উন্নত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগোচ্ছে।