News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/1hs
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৫ সালের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি সম্প্রতি চ্যানেল আইয়ের 'আজকের পত্রিকা' অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন, তবে নির্বাচনের নির্ধারণের ক্ষেত্রে অনেক ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধাপের দিকে ইঙ্গিত করে আসিফ নজরুল বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে এবং তার জন্য একটি সার্চ কমি টি প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। তিনি উল্লেখ করেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা নি র্বাচন কমিশনের প্রধান কাজ হবে। অতীতের ভুয়া নির্বাচন কমিশনের দুর্ভোগ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সুষ্ঠ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছে।
এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, আসিফ নজরুল ও সেনা প্রধানের বক্তব্য সরকারী অবস্থান নয়। তিনি ভোটিং কালচার পুনরুদ্ধারে সরকারের আইন-শৃ ঙ্খলার উন্নতি ও রাজনৈতিক দলের জন্য লেভে ল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
কক্সবাজার সফরের শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, দেশের সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। এছাড়া মডেল মসজিদে দুর্নীতির বিষয়েও তদন্ত ক মিটি গঠনের কথা জানান। নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন প্রস্তুতির কথা বলার পাশাপাশি, এই রাজনৈতিক পরিবেশে জনগণের প্রত্যাশা ও সরকারের দায়িত্বের দিকে ইঙ্গিত দেন তিনি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪) তিনি বলেছিলেন, আগামী ১৮ মাসের মধ্যে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে 'যাই হোক না ' তাদের সহায়তা প্রদান করবেন। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের উক্ত প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, নোবেল পুরস্কারজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস’র নেতৃত্বাধীন হ র অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রতি সেনা প্রধানের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
এদিকে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম পরবর্তীতে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের তারিখ নির্ভর করবে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ও রাজনৈতিক আলোচনা অনুযায়ী। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্যকে ব্যক্তিগত মতামত হিসেবে উল্লেখ করে আলম বলেন, এখানে মতবিরোধের কোন বিষয় নেই।
বড় দলগুলোর মধ্যে চলছে নির্বাচনী আলোচনা।মাঠে চাঙ্গা থাকা বিএনপি বরাবরই যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের দাবি করে আসছে। অন্যদিকে, জামায়াত নির্বাচনের আগে সংস্কার কর্মসূচী বাস্তবায়নের উপর গুরুত্ব দিয়েছে। অপরদিকে, দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ আইনি বেড়াজালে জড়িয়ে পড়ায় নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে পারবে কিনা এটাই শেষ পর্যন্ত দেখার বিষয়।