ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারার সাংবিধানিক বৈধতা মেনে নিয়েছে, যা ১৯৭১ সালের পর আসামে আসা বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব প্রদান করে না। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করে।
বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এই ধারাকে ‘অসাংবিধানিক’ বললেও, অন্যান্য বিচারপতিরা রায়ে সহমত পোষণ করেছেন। ১৭টি আবেদন সংকলন করে শুনানির পর আদালত বলেছে, এই আইন আসাম চুক্তির আওতায় অবৈধ অভিবাসনের একটি রাজনৈতিক সমাধান। আবেদনকারীদের দাবি ছিল, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারাটি ভারতের সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
আদালত জানায়, শরণার্থীদের আশ্রয়ের প্রসঙ্গ নয়, নাগরিকত্বের বিষয়টির সাংবিধানিক বৈধতা এখানে মূল বিষয়। ১৯৮৫ সালে আসাম চুক্তির পর এই ধারাটি তৈরি হয়েছিল, যেখানে ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের মধ্যে আসামে অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। তবে ২৫ মার্চ ১৯৭১-এর পর আসামে আসা বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না বলে রায় দেয়া হয়েছে।
কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেছিলেন যে ১৯৭১-এর পর দেশ ছেড়ে যাওয়া সবাইকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। তাই ১৯৭১-এর ২৫ মার্চকে সময়সীমা হিসেবে ধরা হয়েছে।
এদিকে আবেদনকারীদের বক্তব্য, আসাম চুক্তির বৈধতা পেতে সংসদ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, কিন্তু আদালত কেন্দ্রের দাবিকে সমর্থন করেছে।