নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে বাতিল করেছে জাতীয় শোক দিবস, শিশু দিবস এবং ঐতিহাসিক ৭ মার্চসহ আটটি দিবস। সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত ৭ অক্টোবর, তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানানো হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যমকে জানান, আটটি জাতীয় দিবস বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে এবং শিগগিরই এ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করা হবে।
বাতিল হওয়া দিবসগুলোর মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস (১৭ মার্চ), বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী (১৫ আগস্ট), শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী (৫ আগস্ট), বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী (৮ আগস্ট), এবং শেখ রাসেল দিবস (১৮ অক্টোবর)। এছাড়া ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, জাতীয় সংবিধান দিবস (৪ নভেম্বর), এবং স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস (১২ ডিসেম্বর)ও বাতিল করা হয়েছে।
২০১৭ সালে ইউনেস্কো ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বৈশ্বিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, এবং এরপর বাংলাদেশ সরকার এই দিবসটি ঘোষণা করে। ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংবিধান দিবস পালিত হয় এবং ২০১৭ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসও ঘোষণা করা হয়।
১৫ আগস্টের জাতীয় শোক দিবস ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে পালন শুরু হয়, কিন্তু ২০০২ সালে বিএনপির সরকার এর কার্যক্রম বন্ধ করে। ২০০৮ সালে হাইকোর্টের আদেশে এটি পুনর্বহাল হয়।
বর্তমান সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর ১৫ আগস্টের দিবস পালনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের ভিত্তিতে ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।