বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৪ শতাংশে পৌঁছাতে পারে, যা অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ঘটতে যাচ্ছে। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জিডিপি বেড়ে ৫.৫ শতাংশে উন্নীত হতে পারে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বিনিয়োগ ও শিল্প খাতে দুর্বল প্রবৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক বন্যার কারণে কৃষিতে মাঝারি মানের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের 'বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট আপডেট' প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, যার মধ্যে রয়েছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বহিস্থ খাতের চাপ, আর্থিক খাতের দুর্বলতা এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা। এই কারণে প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর সুযোগ সীমিত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমানে ৮৪.৯ শতাংশ কর্মসংস্থান অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে। ২০১৬ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কর্মসংস্থান ৯.৬ শতাংশ কমেছে। ব্যাংকিং খাতে সংকট ও খেলাপি ঋণের সমস্যা অব্যাহত রয়েছে, যা অর্থনীতিকে প্রভাবিত করছে।
বিশ্বব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে যে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৩.২ শতাংশ থেকে ৫.২ শতাংশের মধ্যে থাকবে, যেখানে মধ্যবর্তী পয়েন্ট হবে ৪ শতাংশ। এটি সরকারের ৬.৭৫ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২.৭৫ শতাংশ কম।
যদি বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যায়, তাহলে এটি কোভিড-১৯ মহামারির পর সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি হবে। বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ, যা সাধারণ মানুষের জীবনমানকে নীচে নামাচ্ছে এবং বৈষম্যও বাড়াচ্ছে।