গত জুলাই ও আগস্ট মাসের শুরুতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা এবং হত্যার নির্দেশদাতা ও ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় মোট ১ হাজার ৬৯৫টি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম ১৩ দিনে এসব মামলায় মোট ৩ হাজার ১৯৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় ৭৪ জনও রয়েছেন। এছাড়া অতীতে যারা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এ আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতাকে কোনো ধরনের হয়রানির আশঙ্কা করতে না বলা হয়েছে পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পুলিশের সেবা হবে হয়রানিমুক্ত এবং জনবান্ধব। অযথা কাউকে হয়রানি করা হবে না, এটি নিশ্চিত করবে পুলিশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি যুগান্তকারী মাইলফলক হিসেবে কাজ করেছে, যা সবার জন্য সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়তে পুলিশ ছাত্র-জনতার সঙ্গে একযোগে কাজ করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।