সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর পর এখন পর্যন্ত তিন লাখ ৭২ হাজারের বেশি গ্রাহক এতে যুক্ত হয়েছেন। তাদের জমা দেওয়া মোট চাঁদার পরিমাণ প্রায় ১৩১ কোটি টাকা, যার মধ্যে ১২৫ কোটি টাকা সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত মুনাফা চলতি মাসেই পেনশন স্কিমের গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে বণ্টন করা হবে।
তবে গ্রাহকরা এই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না। পেনশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত মুনাফা হিসাব করে তা আনুপাতিকভাবে স্কিম গ্রহণকারীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভায় সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় স্কিমের কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, কিন্তু কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বর্তমান কাঠামোতেই স্কিমটি চলতে থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
গত বছর ১৭ আগস্ট সরকারের পক্ষ থেকে টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় এই স্কিম চালু হয়। প্রাথমিকভাবে চারটি স্কিম—প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা এবং সমতা—এর মাধ্যমে এই পেনশন সিস্টেম কার্যকর করা হয়।
এখন আশা করা হচ্ছে, এই নতুন ব্যবস্থায় আরও বেশি সংখ্যক মানুষ উপকৃত হবে।