বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই ছাত্রলীগকে 'সন্ত্রাসী সংগঠন' আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
সম্প্রতি, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের জন্য এক সপ্তাহের আলটিমেটাম দিয়েছেন, যার সময়সীমা শেষ হচ্ছে আজ। মাহমুদুর রহমান বলেছেন, সরকারকে দ্রুত এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, অন্যথায় আন্দোলনের মাঠে নামবেন শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা অভিযোগ করেছেন, ছাত্রলীগ দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভূমিকা রেখেছে এবং অন্য ছাত্রসংগঠনগুলোকে রাজনৈতিক মাঠ থেকে সরিয়ে রেখেছে। সর্বশেষ ঘটনার পর, যেখানে ছাত্রলীগের সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়, তাদের বিরুদ্ধে এই সন্ত্রাসী সংগঠনের খেতাব দেয়া হয়।
চট্টগ্রাম থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ জানিয়েছেন, গত ৩৬ দিনে ছাত্রলীগের হামলায় ২০ জনের বেশি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তিনি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন।
আসিফ নজরুল, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা, বলেন, বাংলাদেশে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি একটি জনপ্রিয় দাবিতে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার ফ্যাসিস্ট কিছুকে নিষিদ্ধ করবে না, বরং আইনানুগভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রত্যাশা রাখেন।
এদিকে, ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হলেও, কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আত্মগোপনে রয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, যা পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে।
এই আন্দোলন নিয়ে দেশের সচেতন নাগরিক সমাজও তৎপর রয়েছে, যা পরিস্থিতির উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা তৈরি করছে।