জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পুরুষদের জন্য ৩৫ বছর এবং নারীদের জন্য ৩৭ বছর করার সুপারিশ করেছে। কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত পর্যালোচনা কমিটি সম্প্রতি এই প্রস্তাব অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জমা দিয়েছে। তবে, অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিটির সূত্র জানায়, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আসবে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বর্তমান বয়সসীমা ৩০ বছর, যা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩২ বছর।
বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি দীর্ঘ এক দশকের পুরানো। এর ফলে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন হয়েছে, এবং আন্দোলনকারীরা পুলিশি হামলার শিকারও হয়েছেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এই আন্দোলন আরো তীব্র হয়েছে। সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও চাকরিপ্রত্যাশীদের বয়সসীমা বাড়ানোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
পর্যালোচনা কমিটি শিক্ষাব্যবস্থা, পরীক্ষার ধরন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেছে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।