ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দুই মাস পেরিয়ে গেছে। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে নিপীড়নের শিকার হয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা এখন নানা সমস্যায় পড়ছেন। বর্তমানে বিএনপির কেন্দ্রীয় এবং তৃণমূলের কিছু নেতা বিশৃঙ্খলা ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন।
তবে, বিএনপির নীতি নির্ধারকরা এসব ঘটনায় কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসার সাথে সাথে সাংগঠনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। জানা গেছে, চাঁদাবাজি, দখল এবং বিতর্কিত ব্যবসায়ীদের সাথে সম্পর্কিত অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি ইতিমধ্যে ২০০-এর বেশি নেতাকে বহিষ্কার করেছে।
ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের অন্তর্গত পাঁচশরও বেশি নেতাকর্মী চাঁদাবাজি ও অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের কারণে বহিষ্কার হয়েছে। এর মধ্যে ১,০২৩ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, "অনিয়মে যুক্তদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান কঠোর। যেকোনো অপরাধে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না।" দলটির নেতারা বলছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে এসব অভিযোগ কমানো জরুরি, নাহলে ভোটের ফলাফল প্রভাবিত হতে পারে।
সম্প্রতি, দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে শোকজসহ পদ স্থগিতের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দলের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের ফলে কয়েকজন কর্মী নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে অনেকেই।
দলটির নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।