News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/1dW
৫ আগস্ট ক্ষমতার পরিবর্তনের পর দুই মাসেও ভোগ্যপণ্যের ব্যবসায় গতি ফেরেনি। রাজধানী ও সারাদেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারে এখনও চলছে অস্থিরতা। শ্রমিকদের অসন্তোষ এবং বিপণন ব্যবস্থার ঘাটতির কারণে বিক্রি প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ কমে গেছে, দাবি ব্যবসায়ীদের।
রাজনীতির অস্থিরতার পর দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনা বেড়ে গেছে, ফলে মানুষের আয় কমে গেছে এবং অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে মানুষ খরচ কমাচ্ছে, যা ভোগ্যপণ্যের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও বন্যার কারণে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এ কারণে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর গুদামে পণ্য জমে যাচ্ছে, এবং উৎপাদন কমে যাচ্ছে।
বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বাশার চৌধুরী জানান, “ভোগ্যপণ্যের বেচাকেনা ৪০ শতাংশ কমেছে। এখন যে পণ্য আসছে, সেগুলো কয়েক মাস আগে কেনা।” সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, “সাধারণ ক্রেতারা এখন কম পণ্য কিনছেন, ফলে বিক্রেতারাও পণ্য কেনা কমাচ্ছেন।”
আন্দোলন ও বন্যার ফলে ব্যবসায়ীরা কঠিন সময়ে কাটাচ্ছেন। কাঁচামালের সংকট, ডলারের ঘাটতি এবং বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকট ব্যবসায়ীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মেঘনা গ্রুপের কর্মকর্তারা জানান, ট্যুরিজম ও হোটেল খাতেও মন্দা চলছে। এসব কারণে বাজারে পণ্যের সরবরাহ কমে যাচ্ছে এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্বাভাবিক হচ্ছে না। এস আলম গ্রুপের পণ্য সরবরাহেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বাংলাদেশ পাইকারি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বশির আহম্মেদ বলেন, “ব্যাংকের লেনদেন সীমিত হয়ে গেছে, ফলে পাইকারি ব্যবসা এখনও ২০ শতাংশের নিচে।”