News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/1dz
বাংলাদেশের শিল্প খাত বর্তমান সংকটের মধ্যে আছে। ঋণের উচ্চ সুদহার এবং ক্রমবর্ধমান উৎপাদন ব্যয়ের কারণে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সুদের হার বাড়িয়ে চলেছে, যা শিল্প খাতের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা কমাচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ
বাংলাদেশ নিটপণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ঋণের সুদ বাড়ানো কার্যকর কৌশল নয়। উচ্চ সুদে ঋণ নিলে ব্যবসায়ীরা কম ঋণ নিতে বাধ্য হন, ফলে উৎপাদন কমে যায়। এর ফলে পণ্যের দাম বাড়তে পারে, যা বাজারের জন্য ক্ষতিকর।
বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, উচ্চ সুদের হার ব্যবসায়ীদের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকট, পাশাপাশি শ্রম অসন্তোষের কারণে অনেক শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যাংক ঋণের কিস্তি পরিশোধের জন্য এখন ব্যবসায়ীরা মারাত্মক সমস্যার মুখে।
সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ
তিনি বলেন, সরকারের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারকারীদের কারণে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা সংকটের শিকার হচ্ছেন। ব্যাংকগুলো বাধ্য হয়ে উচ্চ সুদে ঋণ দেয়ার জন্য আমানত সংগ্রহ করছে। শওকত আজিজ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংককে সুদের হার স্থিতিশীল রাখার জন্য চিন্তা করতে হবে, যাতে ব্যবসায়ীরা কিছুটা স্বস্তি পায়।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, ১৪-১৬ শতাংশ সুদে ব্যবসা করা সম্ভব নয়। দীর্ঘ সময় ধরে ঋণের উচ্চ সুদ রাখা দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
সুদহার ও বাজার পরিস্থিতি
গত বছরের জুলাই থেকে সুদের হার বাড়তে শুরু করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শ অনুযায়ী বাজারভিত্তিক নীতি গ্রহণ করেছে। বর্তমানে আমানত ও ঋণের সুদহারের ব্যবধান ৬.৩০ শতাংশ, যা ব্যবসায়ীদের জন্য আরও চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
এই অবস্থায়, ব্যবসায়ীদের সুরক্ষার জন্য সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে অভিমত জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।