News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/1du
দেশজুড়ে যখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও হামলার ঘটনা ঘটে, তখন মৌলভীবাজারের শেরপুর ছিল এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ। ৪ আগস্ট সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ মিছিলে থানা আক্রমণ, পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ভয়াবহ চিত্র দেখা গেলেও শেরপুরে পরিস্থিতি ছিল শান্ত। এর পেছনে যিনি মূল ভূমিকা রেখেছেন, তিনি শেরপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নিয়াজ শরীফ।
ওইদিন দেশব্যাপী যখন আন্দোলনকারীদের দমনে বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়িতে গুলি চালানো হচ্ছিল, শেরপুরের পুলিশ তা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকে। এসআই নিয়াজ শরীফের নিরপেক্ষ ও বন্ধুভাবাপন্ন অবস্থান আন্দোলনকারীদের সহিংসতা থেকে দূরে রেখেছিল এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করেছিল। বরং পুলিশের এ ভূমিকাই আন্দোলনকারীদের আস্থা অর্জন করে। ফলস্বরূপ, বিক্ষোভের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীরা এসআই নিয়াজ শরীফকে ফুল দিয়ে সম্মান জানান।
শেরপুরের আজাদ বখসত উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের প্রিন্সিপাল শিহাব আহাম্মেদ বলেন, "এসআই নিয়াজ শরীফ সবসময়ই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন এবং ছাত্রদের সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। তার নিরপেক্ষ ভূমিকার কারণে আমরা সহিংসতা এড়িয়ে চলতে পেরেছি।"
শেরপুরে আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অলি আহাম্মেদও বলেন, "শেরপুরের পুলিশ আন্দোলনের সময় পুরোপুরি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে, যা আমাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে সহায়তা করেছে।"
এসআই নিয়াজ শরীফ নিজেই এ বিষয়ে বলেন, "আমি সবসময়ই পুলিশের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের চেষ্টা করি। নিরপেক্ষভাবে কাজ করলে সাধারণ মানুষ আমাদের পাশে থাকে। শেরপুরে সহিংসতা এড়ানোর পেছনে পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকা এবং আন্দোলনকারীদের সহযোগিতাই মূল কারণ।"
দেশের বিভিন্ন থানায় পুলিশের ওপর আক্রমণ হওয়া সত্ত্বেও শেরপুরে এমন ঘটনা ঘটেনি। এসআই নিয়াজ শরীফের নেতৃত্বে শেরপুর ফাঁড়ি পুলিশ সবসময় জনমানুষের অধিকার রক্ষায় এবং শান্তি বজায় রাখতে সচেষ্ট ছিল। তার এ ভূমিকা প্রমাণ করে, সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি ও দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে পুলিশ ও জনগণের মধ্যে আস্থা ও সহযোগিতার সেতুবন্ধন তৈরি করা সম্ভব।