News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/1ds
দেশের শিক্ষাক্রম ফের এক দশক পূর্বের দিকে ফিরছে। ২০২২ সালের শিক্ষাক্রম বাতিল করার পর নতুন পাঠ্যবইয়ে কিছু পরিমার্জন ও পরিবর্ধন চলছে। আগামী বছরে শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ে যুক্ত করা হবে জুলাই ও আগস্ট মাসের ছাত্র-জনতার আন্দোলন ভিত্তিক গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তুক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বতীকালীন সরকার পুরোনো সৃজনশীল পদ্ধতির শিক্ষাক্রমে বইগুলো পুনরায় উপস্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এই বইগুলোর সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে, যেখানে ঐতিহাসিক ঘটনার ক্ষেত্রে অতিরঞ্জিত তথ্য বাদ দেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণীও পাঠ্যবই থেকে মুছে ফেলা হবে।
পাঠ্যবই সংশোধনের জন্য গঠিত দলের সদস্যরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। তবে, জুলাই-আগস্টের ঘটনাবলীর ইতিহাস সঠিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে গবেষণা ও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পর্যাপ্ত সময় নেই। ফলে আগামী বছরের পাঠ্যবইয়ে তা যুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ২০২৬ সালের পাঠ্যবইয়ে এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হবে।
এদিকে, পাঠ্যবই সংশোধন টিমের সদস্যরা জানিয়েছেন, কিছু কনটেন্ট বাদ পড়তে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার কোনো বাণী বইয়ের কাভারে থাকবে না এবং অতিরঞ্জিত ইতিহাস বাদ দেওয়া হবে।
এনসিটিবি সদস্য অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী জানিয়েছেন, পাঠ্যবই সংশোধনের জন্য একটি টিম গঠন করা হয়েছে, কিন্তু কারিকুলামের বিষয়ে কোনো কমিটি গঠন করা হয়নি।