News Link: https://dailylalsobujbd.com/news/1ce
নিত্যপণ্যের বাজারে তেল, চিনি এবং আলুর দাম কমানোর কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দুই মাস পরও এই তিনটি পণ্যের দাম পূর্বের উচ্চমাত্রায় স্থির রয়েছে। ভোক্তারা বলছেন, সরকারের নজরদারি বাড়ানো এবং কার্যকর পদক্ষেপের অভাব দেখা যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা আগের মতোই অতিরিক্ত মুনাফা করছে।
২১ আগস্ট, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা। বৈঠকে দেশের বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থী মো. বিন ইয়ামিন মোল্লা সাত দিনের আলটিমেটাম দিয়ে দাবি জানান, সয়াবিন তেলের দাম ১২০ টাকা, চিনি ৯০ টাকা এবং আলু ২৫ টাকায় বিক্রির জন্য। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হলেও দাম কমেনি। বর্তমানে সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকা, চিনি ১৩০ টাকা এবং আলু ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বিন ইয়ামিন বলেন, সরকারের গঠনমূলক উদ্যোগের অভাবে দ্রব্যমূল্য কমছে না। সাধারণ মানুষকে নিয়ে প্রতিবাদ করবেন বলেও জানান তিনি। রাজধানীর গুলশান এলাকার ভোক্তারা বলছেন, আলুর দাম দ্বিগুণ হয়েছে, যা অযৌক্তিক।
কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন জানান, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সরকারের কোনো কার্যকর পদক্ষেপের আশায় বসে রয়েছে। আমদানিকারকরা জানান, চিনির দাম বৃদ্ধির পেছনে ভ্যাট ও চোরাই পথে আমদানি একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
সার্বিকভাবে, ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় সরকারকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।